আওয়ামী লীগের বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দলটির তৃতীয় সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার্তায় বলা হয়েছে, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয় ছিল, এনসিপির অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক নীতিমালা নির্ধারণ, সংস্কারবিষয়ক প্রস্তাবনা প্রণয়ন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি নির্ধারণ, সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পলিসি গ্রহণে সরকারকে দাবি জানানো, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি সহিংসতা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনমনে স্বস্তি আনতে সরকারকে জোর দাবি জানানো।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক খায়রুল কবিরের মায়ের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশের মাধ্যমে সভাটি শুরু হয়। এতে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তাব করেন মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। নীতিমালায় সাংগঠনিক কাজের স্বার্থে ৬৪টি জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করা হয়।
এছাড়াও, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ সদস্য থেকে সর্বোচ্চ ৫১ সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এবং উপজেলা কমিটি সর্বনিম্ন ২১ সদস্য থেকে সর্বোচ্চ ৪১ সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। উভয় কমিটির আহ্বায়ক নির্ধারণে বয়স সর্বনিম্ন ৪০ বছর হতে হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জনপরিসরে এনসিপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সাংগঠনিক ‘শৃঙ্খলা ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।