জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে দুর্বল করতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি অপরাজনীতির নোংরামি নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ‘বিলাসীজীবন’সহ নানা প্রশ্নের মুখে সারজিস-হাসনাত-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল একটি গণমাধ্যম। ওই প্রতিবেদনে সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তোলা হয়।
ওই অভিযোগের বিষয়ে সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের বিভাজিত করতে, দুর্বল করতে এই প্রচেষ্টাগুলো অব্যাহত থাকবে জানি। তাই সেসব অপরাজনীতির নোংরামি নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।’
প্রতিবেদনটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পর হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। যেখানে তিনি জানান, ‘তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ করেছে একটি গণমাধ্যম। হাসনাতের পোস্টের পরপরই কোনোরূপ ব্যাখ্যা ছাড়াই গণমাধ্যমটি তার প্রতিবেদনের শিরোনাম বদলে ফেলে। খবরের ভেতরেও পরিবর্তন করে।’
এর পরপরই গণমাধ্যমটির অপেশাদার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা শুরু হয় ফেসবুকে।
এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন এনসিপির নেতা সারজিস আলম। যেখানে তিনি বলেছেন, আমাদের বিভাজিত করতে, দুর্বল করতে এই প্রচেষ্টাগুলো অব্যাহত থাকবে জানি। তাই সেসব অপরাজনীতির নোংরামি নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে। ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় আবশ্যক।
তিনি বলেন, চোখের সামনে লাশ আর রক্ত দেখেছি। হাসিনার বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স, এজেন্সি এসব পার করে এসেছি। ফাউন্ডেশনের হয়ে অন্তত ৬০০ শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
সন্তান হারানো মা-বাবার অঝোরে কান্না দেখেছি। ওই ৫ আগস্টে বাংলাদেশকে নিয়ে দেখা নতুন স্বপ্নগুলোকে সামনে রেখে মানুষের খুশির আর্তনাদ দেখেছি। এগুলো এখনো ভুলিনি। আমৃত্যু ভোলা সম্ভব নয়।
সারজিস আরও বলেন, ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি- অবৈধ এক টাকা স্পর্শ করিনি, অনৈতিক বিষয়ে কারো পক্ষে একটা কথা বলিনি।
এনসিপির এ নেতা বলেন, কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেসবের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই সেসব বিষয়ে জোর করে নাম জড়ানো হয়। সব মানুষ ফ্যাক্ট চেক করতে পারে না। অনেকের ভেতরে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :