সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

সুপারিশ অনুযায়ী সংস্কার করেই নির্বাচনে যেতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

সুপারিশ অনুযায়ী সংস্কার করেই নির্বাচনে যেতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করেই নির্বাচনে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

রোববার (২০ এপ্রিল) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।   

নাসীর পাটওয়ারী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় রূপান্তর করা হয়েছিল। এ কাঠামো রূপান্তরে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন একটি বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে যাচ্ছি, এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমরা যাতে নির্বাচন কমিশনকেও নিয়ে যেতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছিল, প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা বিষয়গুলোর (অনিয়ম) সঙ্গে জড়িত ছিল, তদন্তের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তাদের দৃশ্যমান বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান, স্বাধীন, সাংবিধানিক হোক বা অসাংবিধানিক হোক, কোনো ব্যক্তি যেন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে না গিয়ে বাংলাদেশের হাজারো মানুষের রক্তের ওপর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে, নতুন একটি যাত্রা করতে পারে।’

নাসীর বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসারদের সংবিধানিক জায়গায় তাদের বড় একটি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে কোথায় কীভাবে নির্বাচন হয়েছে, সে নিয়ে কোনো দায়ভার নেয় না নির্বাচন কমিশন। তাই আমরা বলেছিলাম, গেজেট পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন থেকে একটি সার্টিফিকেশন দিতে যে, এ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু হয়েছে; যাতে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় আনা যায়।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশন কোনো সার্টিফিকেশন দেয়নি। বরং বিভিন্ন দলীয় অফিস থেকে সার্টিফিকেশনগুলো এসেছে। এ জন্য আমরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক আকারে দেখতে চাই। আমরা কমিশনকে মানুষের জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই।’

প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে এনসিপি নেতা নাসীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ভালো পদ্ধতি পায়নি কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

‘আমরা নবীনতম দল। ১৫ বছরের অনেক দল, যারা ইসিতে কাগজ জমা দিয়েও নিবন্ধন পায়নি, এখন সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। আমরা এনসিপি ও অন্যান্য দলকে সুযোগ দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। তারা বিবেচনাধীন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রতিটি পাতা ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড অনুসরণ করে নির্বাচনে যেতে হবে। পুরোনো সিস্টেমে ‘ধর তক্তা, মার পেরেক’। যখন ইচ্ছা তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন করার সুযোগ আর ছাত্রসমাজ দেবে না। এ জন্য একটি সুন্দর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড, প্রত্যেকটি লাইন বাই লাইন, যে প্রস্তাব সংস্কার কমিশন থেকে এসেছে, সেগুলো নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে প্রায়োগিক আকারে নিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশে নির্বাচনের যাত্রা সূচনা করতে হবে।’

মৌলিক সংস্কারের আলোকে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার চেয়েছেন, এ কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কি না?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা যেসব কথা শুনতে পাই, সেগুলো আমরা এখনো প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে শুনিনি। রোডম্যাপের কথা আমরা শুনিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এসেছে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন কথা বলার সময় নিজেদের জায়গা থেকে সতর্ক থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, সে অনুসারে তারা কাজ শুরু করতে পারে, কিন্তু রোডম্যাপ বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা আসার আগেই তারা যদি নিজেদের ভেতর থেকে কথা বলে থাকেন, সেটা নিয়ে আমরা সন্দেহ পোষণ করি।’

‘আমরা বলেছি, ২০২২ সালের যে নিয়ম-নীতি ছিল, সেটা নিয়ে বিএনপিও বিরোধিতা করেছিল। সেই নিয়মের অধীনে নির্বাচন না হয়ে একটা সংস্কারের মাধ্যমে যেন নির্বাচন হয়। ১৭ এপ্রিল আমরা ইসিতে যে চিঠি দিয়েছি, এতে সংস্কারের বিষয়টি ফোকাস করেছিলাম, যেন তারা সেদিকে ধাবিত হয়।’

 এনসিপি সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের বিরোধিতা করে জানিয়ে নাসীর পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন চাই। সেখানে ঐকমত্য কমিশন যদি সম্মত হয়, তারা যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়, এটি সরকারের একটা সিদ্ধান্ত। যারা কমিশনার রয়েছে, তারা নয়।’

‘আমরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আকারে দেখি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঐকমত্য কমিশন থেকে যদি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত আসে, সে বিষয় আমরা দেখব। যদি না হয় নির্বাচনের আগে, তখন আমরা পরবর্তীতে কমেন্ট করব।’

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে যদি কমিশন তপশিল ঘোষণা করে তাহলে আপনাদের অবস্থান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী সংস্কার জরুরি। বর্তমান প্রক্রিয়ায় ঐকমত্য কমিশন থেকে আসার সিদ্ধান্তের আলোকে যদি নির্বাচন হয়, আমরা আশা করি যে একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় অনেক বিষয়ে সংস্কার জরুরি। কমিশনও অনেক সংস্কারের জন্য একমত পোষণ করেছে।’  

Link copied!