ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত রয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৬ দফা দাবি পেশ করেছিলেন। এই ছয় দফা এক দফায় পরিণিত হয়েছে।
এখন সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ উপাচার্যের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর দুই মাস আগে কুয়েটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
যার ফলে সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার রেশ এখনো কাটেনি। আর দু’মাসেও ওই মামলার কোনো সুরাহা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একাংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিচ্ছেন।
এদিকে, ভিসির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান গণঅনশন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশে আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
এ সময় তারা জানান, দাবি না মানলে শাহবাগ ব্লকেডের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। এদিন বিকেলে সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রোববার দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসনমূলক আচরণ করার পরিণতি কী হতে পারে, তা চব্বিশের জুলাইয়ে দেখেছে বাংলাদেশ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও আমরা এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ দেখতে চাই না। কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছি। কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’
এদিকে, নতুন করে ফের কুয়েট বাঁচাতে শিক্ষার্থীদের পাশে ঢাবি, জবি, জাবি, প্রাইভেট, ঢাকা কলেজ, বুয়েটসহ ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারা ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :