বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ (যুদ্ধ) মন্তব্য করে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নীলফামারী জেলা সদরের লক্ষীচাপা ইউনিয়নের দুবাছুরি মাদ্রাসা মাঠে নিহত গোলাম রব্বানীর পরিবারকে নবনির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আর ৩০ হাজার মানুষকে রক্তাক্ত করেছে। বাংলাদেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত। এখন সামনে বড় একটি যুদ্ধ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে সেগুলো বাস্তবায়নের সময় এসেছে। মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সরকারের। এ জন্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করতে হবে।
সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলো হচ্ছে দেশ গড়ার। এই দেশকে গড়তে হলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপি জনগণের দল, তাই জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় আসতে চায়। জনগণের সমর্থন না থাকলে বিএনপি এগিয়ে যেতে পারবে না। জনগণই বিএনপির মূল শক্তি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আপনার মতামত লিখুন :