আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবার এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, ছাত্রলীগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, আর সেই সংগঠনকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর সঙ্গে এক নির্মম পরিহাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগকে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালির অধিকার আদায়, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মুক্তি সংগ্রামের সৈনিক হিসেবে অবদান রাখার জন্য। একটি রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে এভাবে যুক্ত থাকার মতো সৌভাগ্য পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন ছাত্র সংগঠনের সৌভাগ্য হয়নি। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সপরিবারে জাতির পিতা কে হত্যার পর এদেশের গণতন্ত্রের সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর এক বড় আঘাত।
এতে আরও বলা হয়, এদেশে সকল অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামী ছাত্র সমাজের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই ছাত্রলীগকে এই অসাংবিধানিক অপশাসনের বিরুদ্ধে এক হুমকি হিসেবে দেখছে।
আপনার মতামত লিখুন :