প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতাকে চাঁদাবাজ বানানোর ষড়যন্ত্র

ঢাকা: ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর, স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ও একটি বিশেষ মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্রের ব্যপকাতা দেখা দিয়েছে সকল স্থানে, বেড়েছে আধিপত্য বিস্তারের প্রভাব। রাজধানীর কাওরানবাজারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঁদাবাজির নতুন সিন্ডিকেট।

কাওরানবাজারের ট্রাকস্ট্যান্ড, মাছের আড়ৎ, ফুটপাথ, পাইকারি কাঁচাবাজার, কিচেন মার্কেট, কাঠ পট্টিসহ পুরো এলাকাজুড়ে চলছে চাদাবাজির তান্ডব। সরকার পরিবর্তন হলেও থেমে নেই চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করা যে কাল হলো তেজগাঁও থানা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মেরাজের। চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট তাদের নামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। আমার পুরো পরিবার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কাওরানাবাজারে আমার পরিবারের সদস্যদের ৩০ থেকে ৪০টি দোকান আছে। গত ১৫ বছর আমরা চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। তাই গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাইক হাতে নিয়ে পুরো কাওরানবাজার এলাকায় চাঁদা না দেয়ার জন্য মাইকিং করি। এছাড়া ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা ডেকে চাঁদা না দেয়ার অনুরোধ জানাই।

এতে ক্ষুব্ধ হয় একটি গ্রুপ উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও তার নামে ও মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক করেন তার পুরো পরিবার বিএনপি প্রতিষ্ঠা কালীন থেকে রাজনীতি করেন তার আপন ফুফা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকার সহ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

আব্দুর রহমান বলেন, আমরা সবসময়ই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও নিব। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলে চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই নেই। যারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই মূলত চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত চাঁদাবাজদের চেহারা উন্মোচিত হবে বলেও তিনি দাবি করেন।