ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসক দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলো। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। সারাদেশে লুটের উৎসবে মেতে উঠেছিলো। ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপিকে ঠেকাতে এখনও তৎপর।
তিনি বলেন, দেড়যুগ যাবত ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। জীবন দিয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী। এবারের গণঅভ্যুত্থানেও আমাদের সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে কোনো লাভ হবে না। বিএনপি জনগণের দল। জনগণই সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহিত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অকৃতজ্ঞ দল। শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলো। শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে আওয়ামী লীগকে পূর্ণ জন্ম দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আর এই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশ থেকে জিয়া পরিবারের নাম এবং বিএনপি ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছিলো। এ দেশে মুনাফিকদের আর স্থান হবে না।
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, বিএনপি সংগ্রামী দল। রাজপথে লাগাতার দেড়দশক আন্দোলন করেছে। এখনও রাজপথে আছে। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত। যতদিন পর্যন্ত দেশের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমরা রাজপথে আছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান টিটুসহ নগর নেতারা বক্তব্য রাখেন। প্রস্তুতি সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ২৬টি থানা এবং ৭১টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :