ঢাকা সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
স্বপ্ন প্রকল্প ফ্যামিল কার্ড

প্রতিটি পরিবার খাদ্য নিরাপত্তা পাবে: তারেক রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম

প্রতিটি পরিবার খাদ্য নিরাপত্তা পাবে: তারেক রহমান

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জ: বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারকে খাদ্য নিরাপত্তা "স্বপ্ন প্রকল্প ফ্যামিল কার্ড" প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা পুরাতন স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ ও আন্দোলনে শহীদ পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুরাতন স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ ও আন্দোলনে শহীদ পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুম-খুন, হামলায় আহত ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ননা তুলে ধরেন গণসমাবেশে।

তিনি বলেন, পরিবারের মা বা গৃহিণীর নামে "স্বপ্ন প্রকল্প ফ্যামিল কার্ড"  কার্ড প্রদান করা হবে। রাষ্ট্রের পক্ষে সকল নাগরিক পর্যায়ক্রমে কার্ডটি পাবে। প্রাথমিকভাবে গ্রাম-জেলা পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিতরা এর আওতায় আসবেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ চার জন এই বিবেচনায় এটা বিতরণ করা হবে। এলাকার সকলেই এর প্রাপক বিধায় কোন প্রকার দলীয় বা স্থানীয় প্রভাবে কাউকে বঞ্চিত করার সূযোগ থাকবে না। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর একটি অংশ এই কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে গ্রামের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য এর প্রবর্তন হলেও পরবর্তীতে সকলেই এর প্রাপক হবেন।

তারেক রহমান বলেন, আজকে আমরা সকলে এই মাঠে একত্রিত হয়েছি, মুক্ত পরিবেশে কথা বলছি, ভয়হীন পরিবেশে আমরা কথা বলছি।  আজকে মঞ্চে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা শুনেছি, স্বজন হারানো মানুষের বক্তব্য শুনেছি।  যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন তাদের সম্মান শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজকে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। ভয়হীন এই পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিগত ১৭ টি বছর এদেশের মানুষের অপেক্ষা করতে হয়েছে।  এই পরিবেশটির জন্য দেশের মানুষকে ত্যাগ করতে হয়েছে।  

সংগ্রাম করতে হয়েছে, প্রতিবাদ- প্রতিরোধ করতে হয়েছে।  গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ জেলাতে ১৭ জন মানুষকে হারিয়েছি, যারা আত্মত্যাগ করেছেন এই দেশের মানুষের অধিকারের জন্য। ১৬ জন মানুষ আছেন যারা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।  যারা ভয় পাননি। আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশে হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছেন, যার আত্মত্যাগ করেছেন ১৫-১৬ বছর ধরে।  বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্ট মাসে শত শত ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এর বাহিরে বহু মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির ৬০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। বহু মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে নির্যাতিত হয়েছে। এত মানুষ শহীদ হয়েছেন, এত মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন, এত মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন, কেন এই মানুষগুলো আত্মত্যাগ করলেন, কেন শহীদ হলেন, এই মানুষগুলো বাংলাদেশের মানুষের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। আজকে আমরা যে মুক্ত পরিবেশে কথা বলছি এরকম মুক্ত পরিবেশ তারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন,  স্বৈরাচার বাংলাদেশের মানুষকে আবদ্ধ করে রেখেছিল। বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে গুলির সামনে নিজেদের বুক পেতে দাবি আদায় করতে হয়। এদেশের মানুষ বারবার প্রমান করেছে স্বৈরাচারীর শাসন মেনে নিতে রাজি নয়। ৭১ সালে যেমন লক্ষ্য লক্ষ্য শহীদের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তেমনি রক্ত দিয়ে ৫ আগস্ট মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য স্বৈরাচারকে বিদায় দিতে সক্ষম হয়েছি। এই আত্মত্যাগ  আমাদের ধরে রাখতে হবে।  বাংলাদেশের মানুষ নতুন প্রত্যাশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ভবিষ্যতের জন্য তাকিয়ে আছে অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সেই প্রত্যাশা প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলতে পারবে, বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই বাংলাদেশকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারী পতন হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হওয়ার পরেও স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশে রয়ে গেছে। আমরা বারবার বলছি বহু মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময় যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সরকারকে ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না। জনগণের প্রত্যাশা জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে পাওয়া। বিগত ১৭ বছর সংগ্রাম করে সেই অধিকার যাতে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু এটিও সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে হবে জনগণের কাজ যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। আবার কোন স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না পায়।  স্বৈরচাচারের পেত্ত্বারা তাদের ষড়যন্ত্রকে অব্যাহত রেখেছে।  গণতন্ত্রের পক্ষে সকল রাজনৈতিক দল প্রতিটি মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। একইভাবে আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সহযোগিতা করব। আজকে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে তাদের প্রিয় দল বিএনপি ইনশাল্লাহ জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামী সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে।  বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে। মানুষের পক্ষে কাজ করবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। বেশ সকল বিপদ কেটে যায়নি আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে সামনে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে একটি সম্ভাবনাময় দেশ, একটি সম্ভাবনাময় জাতি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মুক্তি হলেই সব কিছু মুক্তি হয়ে যাবে না।  রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা অর্থনৈতিক মুক্তি হতে হবে।  জয় পেতে হলে আমাদের আন্দোলন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

তারেক রহমান বলেন,  আমরা রাজনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যমে আমরা যদি সঠিক মানুষগুলোর হাতে দেশ ও জাতি নেতৃত্ব তুলে দিতে সক্ষম হয়, বিদেশের মানুষকে যদি সুযোগ করে দিতে পারি তাহলে তাদের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে সঠিকস্থানে নিয়ে যেতে পারবে।

কিশোরগঞ্জ জেলাকে একটি সম্ভাবনাময় এলাকা বলে আখ্যায়িত করে তারেক রহমান বলেন, আজকে কিশোরগঞ্জের সমাবেশে অধিকাংশ মানুষ কিশোরগঞ্জের।  ২-৪ জন অন্য এলাকার থাকতে পারেন। কিশোরগঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কিভাবে গড়ে তুলতে দুই একটা সম্ভাবনার ক্ষেত্র তুলে ধরতে চাই।  ভোরো মৌসুমে আপনাদের এখানে প্রচুর ধান হয়।  আপনারা কি জানেন আপনারা যে ধান উৎপাদন করেন তা সমগ্র বাংলাদেশের ১৬ শতাংশ ধান উৎপন্ন হয় কিশোরগঞ্জে। যদি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হয় কৃষক ভাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তাহলে  উৎপাদন ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ কিংবা ২৫ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। আর একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে অষ্টগ্রামের হাওর।  এখানে বিভিন্ন প্রকার মাছ পাওয়া যায়। এ মাছের চাহিদা বিশাল চাহিদা সম্পন্ন করে অষ্টগ্রামে হাওর।  পোশাকশিল্প যদি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুর্দা অর্জন করা যায় তাহলে কেন আমরা মাছ চাষ করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো না। জেলেদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে মাছ রপ্তানি করে বিদেশে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলব। আমাদেরকে বিষয়টিকে এভাবে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এতে শুধু মাছ রপ্তানিই হবে না এর সাথে বিভিন্ন প্রক্রিয়া যুক্ত হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এই কাজগুলোকে করতে পারবে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার।  বেকার যারা থাকবে তাদের তাদের কর্মসংস্থ হবে।  অষ্টগ্রাম এর পনির সম্পর্কে অনেকে জানেন না। পনির নিয়ে যদি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, বিশ্বের বুকে আমরা পনির ছড়িয়ে দিতে পারব এবং সুনাম অর্জন করব।  এর মাধ্যমে বহু ভাইবোনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা টাকা পাচার করে বিদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করেছে। কিন্তু বিএনপি তা করবে না। বিএনপির লক্ষ্য মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করা। প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মীর মনের মধ্যে একটি বাসনা থাকে, তারা সুযোগ পেলে তার এলাকার জন্য একটি রাস্তা, একটি ব্রিজ, এশটি স্কুল- হাসপাতাল স্থাপন করা। বিএনপি দেশ পরিচালনায় সুযোগ পেলে সে কাজটিই করবে।  বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের মানুষকে সাবলম্বী করে তোলা,  বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই এটি হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য।  

এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য স্বৈরাচারেরা এখনো তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শহীদদের আত্মত্যাগ তখনই মূল্যায়িত হবে যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করা। আমরা বিগত দিন দেখেছি স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে জাতিকে বিভক্ত করেছে। বিএনপি বিভক্তি চায় না আমরা চাই আমরা চাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে।  সকল দল মত নির্বিশেষের বাংলাদেশ। বিএনপি যেমন আছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল থাকবে।  আমরা কয়েকদিন আগে বলেছি দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফার একটি পরিকল্পনা দিয়েছি।  ৩১ দফায় পরিস্কার ভাবে তুলে ধরেছি যে, আমরা চাই সকলকে নিয়ে বিশেষ করে বিগত ১৭ বছর আমাদের সাথে যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন যে সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়েই জাতিকে-দেশকে পূর্ণগঠন করতে।

ডবএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা বলেছেন দেশের বাইরে খালেদা জিয়ার কোন ঠিকানা নেই, তার সন্তান হিসেবে আমিও বলতে চাই বাংলাদেশের বাইরে আমার কোন ঠিকানা নেই, বাংলাদেশই আমার ঠিকানা। বাংলাদেশই আমার প্রথম ঠিকানা, বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। এদেশ ও মানুষের জন্য আমার সকল প্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বিকেল ৩ টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টার আগে থেকেই মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিশোরগঞ্জ সদর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, কটিয়াদী, ভৈরব, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, তাড়াইল, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী এলাকার নেতাকর্মীরা হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রতিকৃতি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে গণসমাবেশে যোগ দেন। এ সময়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো কিশোরগঞ্জ জেলা পুরাতন স্টেডিয়াম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে আমরা চিরদিন স্মরণ রাখবো এবং পাশে থাকব। এক ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৫-১৬ বছর ধরে গুম-খুন, হামলা, নির্যাতন উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এসেছে জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনে মধ্য দিয়ে।  এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে রাজনৈতিক দলের।  শতাধিক নেতাকর্মী গুম করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লক্ষ মামলা দিয়ে নির্যাতিত করা হয়েছে। এত দুর্নীতি, এত অপরাধ, গুম-খুন করার পর ৫ই আগস্ট এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে নেতাকর্মীরা শান্ত রয়েছে। শান্ত থেকেছে বলেই বাংলাদেশ কোন কিছু ঘটে নি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতারা যে আশঙ্কা করেছিল সেটা ঘটে নাই। কারন আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করি আমরা মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করি। আমরা শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানে বিশ্বাস করি এটা আমাদের দুর্বলতা নয় এটাই গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আস্থা। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের  নির্দেশে সকলে ঐক্যবদ্ধ আছে।

গণসমাবেশে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন,  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ  সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেজ আলী মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রেজাউল করিম টিপু প্রমুখ।

আরবি/এস

Link copied!