ঢাকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

তারেক রহমানকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

তারেক রহমানকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

ছবি, সংগৃহীত

দিনের প্রথম প্রহরেই ছেলে তারেক রহমানকে টেলিফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানান প্রতি রাতেই ম্যাডাম, তারেক রহমানের সাথে কথা বলেন। গতকাল রাতেও কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে জন্মদিনের উইস করেছেন ম্যাডাম।

জানা গেছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজ স্থায়ী কমিটির সদস্য টেলিফোনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং কুশল বিনিময় করেছেন।
দুই জন স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, তারা এসএমএসের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ‘হ্যাপি বার্থ ডে উইস’ করেছেন।।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) তারেক রহমানের ৫৯ তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তার জন্ম। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তিনি। লন্ডনে এখন নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন, সাথে রয়েছেন তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্মদিনে প্রতিবছরই দলের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল হয়। এবার ব্যতিক্রম। দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্মদিনের কোনো কর্মসূচি পালন না করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বাবা জিয়াউর রহমানের দর্শনে তারেকের রাজনীতি শুরু করেন ১৯৮৮ সালে ২২ বছর বয়সে। ওই বছর তিনি বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন।

৯১ সালের নির্বাচনে মা বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তৃণমূলে বিএনপিকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দেন তারেক রহমান। ’৯১ সাল এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলের নৈপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পা্লন করেন তিনি।

পিতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করে ২০০৫ সালে দেশব্যাপী তৃণমূল সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে প্রান্তের মানুষের কাছে সাড়া জাগানিয়া বার্তা দেন তারেক।

২০০২ সালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হন তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে দল এখন পরিচালিত হচ্ছে।

এক এগারো ক্ষমতার পরিবর্তনে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় ১৮ মাস কারাবাসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে তাকে যেতে হয় হাসপাতালে। এরপর ‍উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত হয়ে ২০০৮ সালে ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি।

এরপর থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর লন্ডনে থেকেই জাতীয়তাবাদের পতাকাকে  দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। হয়েছেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।

স্ত্রী ডাক্তার জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে নির্বাসিত জীবনে তারেক রহমান হারিয়েছেন ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে। মা বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্ব আর অসুস্থতা দূর পরবাসে তাকে কষ্টের কাছে অসহায় করে তুলেছে। তারেকের রাজনৈতিক জীবনের বড় একটি অংশ দেশ ছেড়ে নির্বাসিত জীবন। ৫৭ বছর বয়সী তারেক রহমানের ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী।

৮৮ সালে সামাজিক অরাজনৈতিক সংগঠন তারেক রহমান প্রতিষ্ঠা করেন ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’।

আরবি/এস

Link copied!