ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভু নিভু অবস্থায়, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামে। এককভাবে কেউ কিছু দাবি করলে জনমনে বিভেদ সৃষ্টি হবে। জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্বের দাবিদার কেউ একা দাবি করতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা জাগরণী ক্লাব মাঠে বাড্ডা থানার ৯৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন।
জুয়েল বলেন, বিএনপি`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন তার সহকর্মী তার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা, তার দল জীবন দিয়ে দেশের সর্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে জাসাস, যুবদল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ-কর্মীরা নির্যাতন, জেল-জুলুম, গুমের শিকার হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত, নিহত হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম শেষ এক মাসে পরিসমাপ্তি হয়েছে ছাত্র-জনতার যে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। সেই লড়াইয়ে মানুষ মুক্ত হয়েছে।
জুয়েল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আকাঙ্খা কি ছিল এটা সবাই জানে। আকাঙ্ক্ষা ছিল মানুষ ভোট দিতে পারবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভাবে বাজার করতে পারবে, চলাফেরা করতে পারবে। খুন হবে না। গুম হবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে। সীমাহীন ব্যাংক লুট, ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু এগুলো এখন দুঃখজনক পর্যায়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা ছাত্র জনতার ওপর গুলি করেছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
বাড্ডা থানা যুবদলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক সংগ্রামের সভাপতিত্বে ৯৭ নং যুবদলের সাবেক আহবায়ক মেহেদী হাসান বাবু ও সাবেক সদস্য সচিব সাইমন মাহমুদের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান টিটু, বাড্ডা থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মীর বাবুল হোসেন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :