স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে রাজধানীর কাকরাইলসহ আশেপাশের এলাকা। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে হওয়া উত্তেজনা অনেকটাই শান্ত অবস্থায় রয়েছে। দলটির কার্যালয়ে ছাত্র-জনতা আগুন দেওয়ার দুদিন পর শনিবার (২ নভেম্বর) সেখানে সমাবেশ ডেকেছে জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
দুপক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তাপ ছড়ালে ডিএমপির পক্ষ থেকে কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে দুপক্ষই তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে। এতে থেমে যায় কাকরাইলের উত্তাপ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাপার কার্যালয় ঘিরে কোনো কর্মসূচি নেই। তবে আগুনে পোড়ানো ভবনটি শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ফলে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। এছাড়াও কাকরাইলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের যেমন দেখা মেলেনি তেমনি নেই বিরোধী পক্ষের কেউও।
গত মাসের বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার মশাল মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই খবর জানাজানি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে আসে এবং পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন দেয়।
এর পর পরই শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তারা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর নন বলেও দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের ঘোষণা দিয়ে বলেন, তারা যেকোনো মূল্যে শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবেন।
অন্যদিকে টিএসসি থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ঘোষণা দেন, জাতীয় পার্টিকে কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং জাতীয় পার্টির নামে আওয়ামী লীগের দোসরদের এই কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হবে।
এমতাবস্তায় রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করে ডিএমপি।
আপনার মতামত লিখুন :