ঢাকা বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘দেশের পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি সেনাবাহিনী ও জামায়াত’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম

‘দেশের পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি সেনাবাহিনী ও জামায়াত’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, এর একটি সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী।’

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘এ দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী। আগেই সেনাবাহিনীর ক্ষতিসাধন করেছে। জামায়াতকে তছনছ করে দিতে পারলে তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। তারা জমিদার হয়ে পড়বে আর দেশের মানুষকে তারা ভাড়াটিয়া বানাবে। এভাবেই ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু মালিক বাড়ি ছেড়ে পালায় না। ভাড়া দিতে না পেরে ভাড়াটিয়া পালায়। এখন কে পালিয়েছে, ভাড়াটিয়ারা পালিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যত এ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। আমরা এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান চারটি ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করি। হিংসা-বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দৃষ্টান্ত পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমরা শিখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশের মানুষকে আখ্যায়িত করেছে।’

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তারা সংখ্যালঘু বলে যাদের জন্য মায়াকান্না করেছিল তারাই তাদের জায়গা-জমি অন্যায়ভাবে সব দখল করে রেখেছিল। তাদের সম্পদের ওপর হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের ইজ্জতের ওপরেও হাত দিয়েছে। এই সময়ে এসে তারা (আওয়ামী লীগ) মায়াকান্না করে এবং দোষ চাপায় এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষ বিশেষ করে যারা নিষ্ঠাবান মুসলমান তাদের ওপরে।’

আরবি/এফআই

Link copied!