ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

বইয়ের কিছু লাইন সংস্কার করলেই তাকে সংস্কার বলে না: তারেক রহমান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

বইয়ের কিছু লাইন সংস্কার করলেই তাকে সংস্কার বলে না: তারেক রহমান

ছবি সংগৃহীত, তারেক রহমান

ঢাকা: বিএনপি সবার আগে সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে। তবে সেই সংস্কার মানে বইয়ের কয়েক লাইন পরিবর্তন নয়। যে সংস্কার দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে আমরা সেই সংস্কারের কথা বলছি বলে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর টাউন হল ময়দানে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, যে সংস্কার দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে, সুশিক্ষা নিশ্চিত হয়, আমি তাকে সংস্কার বলি। ২৩ মিনিটের ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশে এখনো ক্রান্তিকাল চলছে উল্লেখ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছে। তারা নানাভাবে স্বৈরাচারের বীজ বপনের সুযোগ খুঁজছে।

তারেক রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে তরিকুল ইসলাম কতটা জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ছিলেন আজকের সমাবেশ সেটা প্রমাণ করছে। সাধারণ মানুষের কাছে তরিকুল ইসলাম কতটা জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ছিলেন আজকের সমাবেশ সেটা প্রমাণ করছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডামি ভোট, ভোটারবিহীন ভোট কিংবা ডাকাতির মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারি সরকার দেশের মানুষের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ২০১৪ সালের আন্দোলনে দেখেছি তরিকুল ইসলাম কিভাবে অবদান রেখেছিলেন। গণতন্ত্রের পক্ষে মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাক্ষী রয়েছেন। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেছেন।

এর আগে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মিছিল নিয়ে স্মরণসভা স্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বিকেল ৩টায় স্মরণসভা শুরুর কথা থাকলেও তার বেশ আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় যশোর টাউন হল ময়দান। মাঠ ছাপিয়ে মানুষের ঢল পৌঁছায় আশেপাশের সড়কেও। এক পর্যায়ে স্মরণসভা যেন পরিণত হয় জনসভায়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, খুলনা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান খান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।

আরবি/এস

Link copied!