ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

খেলাধুলা, বিনোদন, শরীর চর্চা ইসলামেরই অংশ: ডা. ফখরুদ্দিন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

খেলাধুলা, বিনোদন, শরীর চর্চা ইসলামেরই অংশ: ডা. ফখরুদ্দিন

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: মুসলমানদের জন্য ইসলামে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের দৃষ্টিতে খেলাধুলা, বিনোদন এবং শরীর চর্চা কেবল শখ বা সময় কাটানোর মাধ্যম নয়; বরং এগুলি ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের অংশ। ডা. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, “ইসলামে শরীর ও মনের সুস্থতা রক্ষায় খেলাধুলা ও শারীরিক প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। নবীজি (সা.) নিজে অনেক খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন এবং মুসলমানদেরকেও শরীর চর্চার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। যেমন, ঘোড়দৌড়, তিরন্দাজি এবং দৌড়ের মতো খেলাধুলা ইসলামে প্রশংসিত।”

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিভাগীয় আন্ত:শাখা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক রাজিবুল হাসান বাপ্পি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, "ইসলামে শরীরের ওপর অধিকার রয়েছে এবং তা সুস্থ রাখা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। শারীরিক সুস্থতা শুধু ব্যক্তিজীবনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং সমাজের উপকারিতার জন্যও এটি অপরিহার্য। খেলাধুলা ও শরীর চর্চা মুসলমানদের মধ্যে শৃঙ্খলা, দৃঢ়তা, সহনশীলতা এবং একাত্মতার অনুভূতি তৈরি করে। ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী, খেলাধুলা এবং বিনোদন হতে পারে ব্যক্তিগত উন্নতির একটি শক্তিশালী উপায়, যা মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।"

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ”খেলাধুলা শুধু শারীরিক বিকাশের একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও দাওয়াতি ক্ষেত্রও। আমরা বিশ্বাস করি, এই খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজের মধ্যে ইসলামের নৈতিকতা, সংহতি এবং সহমর্মিতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হব। সুতরাং, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়; বরং সমাজে ইসলামী মূল্যবোধের প্রসারও ঘটাতে চাই।”

উল্লেখ্য, ঢাকা বিভাগীয় আন্ত:শাখা ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ৩০টি দল অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রানার-আপ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি/এস

Link copied!