বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত শেরপুরের সেলিম দীর্ঘদিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। সোমবার তার জরুরি অস্ত্রপচার হলে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সেলিমকে হাসপাতালে দেখতে আসেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম।
এ সময় সেলিম বলেন গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে চিকিৎসা না করে বরং হয়রানি করে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় সেলিমের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের ঘটনা ঘটে।
ডা. রফিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার সভাপতি ডা. মো. বদর উদ্দিন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক ডা. নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, যুবদলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সহ-সভাপতি ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা. আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. এরশাদ মিয়া, প্রাইভেট মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মমি আনসারিসহ ড্যাব নেতৃবৃন্দ।
আহত সেলিমের মা এর কাছে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।
এক সংখিপ্ত বক্তব্যে ডা রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা কাজে বাধা দানকারী গত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট ঐ সকল ডাক্তাররা এখনও বহাল তবিয়তে তাদের স্ব স্ব জায়গায় কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযোগ আছে যে, তাদের অনেকেই অন্য এক গোষ্ঠীর সহায়তায় পদন্নোতি কিংবা তাদের চাহিদা মত পোস্টিং করে নিচ্ছেন। দলের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কিংবা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং চিকিৎসা প্রদানে বাধা দানকারী ঐ সকল চিকিৎসককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :