ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গ্রিসে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ এবং প্রবাসীদের প্রত্যাশা

জাকির হোসাইন চৌধুরী, গ্রিস 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০১:৫১ পিএম

গ্রিসে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ এবং প্রবাসীদের প্রত্যাশা

গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা। ছবি: সংগৃহীত

দলমত নির্বিশেষে রাষ্ট্রদূত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের একজন অভিভাবক স্বরূপ। এই কারণে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রিসে বসবাসরত নবাগত রাষ্ট্রদূতের কাছে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা, তিনি দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের সংযোগ রক্ষার পাশাপাশি, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করবেন।

প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রত্যাশার মধ্যে রয়েছে-দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা উন্নয়নে এথেন্সের পাশাপাশি, দূর দূরান্ত থেকে আগত সেবা প্রত্যাশী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার প্রাপ্তিসহ নতুন পাসপোর্ট তৈরী, পাসপোর্ট নবায়ন, জন্ম নিবন্ধন, স্থানীয় বিদেশী সরকারের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিতের প্রত্যয়নপত্র এবং অন্যান্য জরুরি সেবাসমূহ দ্রুত ও কার্যকরভাবে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান। বিশেষ করে প্রবাসীদের বিভিন্ন অফিসিয়াল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র সহজভাবে প্রাপ্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি, বাংলাদেশিদের সকল প্রকার কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক সত্যতা নিশ্চিত করা।

এছাড়া, নানা ধরনের কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা পেতে অনেক প্রবাসী বিভিন্ন দেশে আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হন। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তারা সঠিক ও কার্যকর আইনি সহযোগিতা পাওয়ারও প্রত্যাশা করেন। গ্রিসে যেসব অনিয়মিত প্রবাসীরা রয়েছেন তাদের জন্য একটি অনুসন্ধান ও সহায়তা ডেস্ক খোলা, যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধতার খোঁজে কোন দালালের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারিয়ে মানসিক রোগীতে পরিণত না হন। 

দেশের উন্নয়নে প্রবাস থেকে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রত্যাশার পাশাপাশি, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রবাসীদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে নিয়মিত বিবিধ সেমিনার ব্যবস্থায় দূতাবাসের উদ্যোগী হওয়া।

তাছাড়াও, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক জোরদার করায় রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় ও সংলাপের আয়োজন করে তাদের মতামত ও সমস্যার কথা সরাসরি শুনতে পারেন।

এ ধরনের কার্যক্রম প্রবাসী কমিউনিটির সকল ধরণের অন্যায় ও অবৈধ কার্যক্রম থেকে দূরে রাখাসহ প্রবাসীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি এবং দেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করায় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

প্রবাসী শিশুদের বাংলা শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় প্রবাসে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রদূত উদ্যোগ নেবেন বলে আশা প্রবাসীদের।

বিগত রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব পালনকালে একটি বাংলা স্কুল চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তা আর চালু হয়নি। তবে নতুন স্কুল না পেলেও স্থানীয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে দুটি বাংলা শিক্ষা কার্যক্রমের স্কুল চালু ছিল সেগুলোও আজ বন্ধের পথে।  

এছাড়া, মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন বিপদ আপদে সহায়তা পেতে প্রবাসীরা যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রদূতের সাহায্য প্রত্যাশা করেন।

এসব ছাড়াও দেশের নীতি ও আদর্শ বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং প্রবাসীদের সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক বৃদ্ধিতে নবাগত রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কাছে প্রবাসীদের কিছু প্রত্যাশা থাকতেই পারে, যা বিগত শাসন আমলের চেয়ে উন্নত এবং নির্দলীয় হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!