সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ঘোষিত দুই মাসের সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে চলতি মাসের ৩১ তারিখ। এরপর আর কোন সময় বাড়ানো হবে না বলে জানা গেছে। সে অনুযায়ী অবৈধ প্রবাসীদের কোন প্রকার জেল-জরিমানা ছাড়া বৈধ হতে আর মাত্র সাতদিন সময় রয়েছে হাতে। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা অন্যত্র ভিসা স্থানান্তর (ট্রান্সফার) করতে পারবেন। অথবা কেউ চাইলে কোন প্রকার জরিমানা কিম্বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
দেশটিতে দীর্ঘদিন বসবাসরত প্রবাসীরা বলছেন, এই সময়ের পর আরও কঠিন হতে পারে দেশটির ভিসানীতি। সেই সঙ্গে দেশটির আইনকানুন প্রয়োগে আরও কড়াকড়ি হতে পারে। তাই যারা অবৈধ হয়ে রয়েছেন তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসা লাগিয়ে নেয়া অথবা দেশে ফিরে যাওয়া দরকার।
সাধারণ ক্ষমা শুরু হবার পর প্রথম ২০ দিনে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই থেকে ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন করেছেন ১১ হাজার ৯৭৬ জন। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেছেন ৪ হাজার ৮৬১ জন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে তামিমকৃত বা আটকে রাখা প্রায় দুই হাজার পাসপোর্ট বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হাতে হস্তান্তর করা হয়। যা কনস্যুলেটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব পাসপোর্টের তালিকা প্রকাশ করে সংগ্রহের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়। এরপর আর কোন তথ্য দেয়নি কনস্যুলেট কিম্বা দূতাবাস।
দায়িত্বশীলরা বলছেন, সাধারণ ক্ষমার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঠিক কত জন বাংলাদেশী নাগরিক এই সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিয়েছেন তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই মিশনের কাছে। সাধারণ ক্ষমা শেষ হলে জানা যেতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরব আমিরাতের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন রাষ্টদূত।
পররাষ্ট্র সচিব শ্রমশক্তির গতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে স্থগিত থাকা কর্মসংস্থান ভিসার আবেদনসহ ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানালে, জবাবে রাষ্ট্রদূত ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সুরাহার এ আশ্বাস দেন। তবে কবে থেকে সবধরণের ভিসা চালু হবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন সময় বা তারিখ জানানো হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :