সম্প্রতি মালয়েশিয়া প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে দেশটির মিশনে নিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার আওয়ামী সরকারের দোসর মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর গত ১ অক্টোবরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (সংস্থাপন) সবুজ আহমেদ স্বাক্ষরিত ১৯.০০.০০০০.১১১.৪০.৩১১.২০/৬৩৬ অফিস আদেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থানীয় মিশন, নিউ ইর্য়কে নিযুক্ত মিনিষ্টার (স্থানীয়) মোসাম্মত শাহানারা মনিকা-কে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে মিনিষ্টার (স্থানীয়) ও ডেপুটি হাইকমিশনার পদের বদলির চিঠি ইস্যু হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত আপনাকে মিনিষ্টার (স্থানীয়) ও ডেপুটি হাইকমিশনার পদে বদলির সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এমনকি বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের অনুরোধও করা হয়।
কিন্তু বদলির আদেশের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও মোসাম্মত শাহানারা মনিকা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসে স্বপদে যোগদান করেননি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মোসাম্মত শাহানারা মনিকা বদলির আদেশ পাওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যোগদানের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরের উচ্চমহলে হস্তক্ষেপের কারণে থমকে আছে তার যোগদান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মোসাম্মত শাহানারা মনিকা কোনভাবেই ডেপুটি হাইকমিশনার পদে মালয়েশিয়ায় যোগদান করতে না পারেন সে জন্য
বর্তমান ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর দেশের সর্বোচ্চমহলে তদবির চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মসূচি দিলে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন বর্তমান ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর। সেখানে সমাবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়া পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ দিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও আন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেন বিসিএস বিংশ ব্যাচের এই কর্মকর্তা। এরপর জুলাই বিপ্লবের পর মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের দাবিতে দূতাবাসে স্মরাকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন করেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আপনার মতামত লিখুন :