লন্ডনে পাপন

নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কায় আসছেন না জনসম্মুখে

জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০২:১৭ এএম

নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কায় আসছেন না জনসম্মুখে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লন্ডনে অবস্থান করলেও জনসম্মুখে আসছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

লন্ডনে অবস্থানকারী দলের অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি ও দলের একাধিক নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিলেও সেসব থেকে বিরত থাকছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পাপন নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পরতে পারেন এই আশঙ্কায় বের হচ্ছেন না। ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার দুর্নীতি দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের। তার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা পলাতক রয়েছেন।

বিসিবির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপন তাদের মধ্যে একজন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

সরকার পতনের ৫ মাস পর এবার দেখা মিলেছে তার। এ-সংক্রান্ত ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সুপারশপে কেনাকাটা করছেন নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় তার পাশে এক নারীকে দেখা গেছে।

তবে সুপারশপটি কোথায় এবং তার সঙ্গে থাকা নারীটি কে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এর আগে লন্ডনের একটি বাঙালি রেস্টুরেন্টের  সিঁড়িতে সস্ত্রীক তাকে বসে থাকতে দেখা যায়।

পাপনের ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দুই সপ্তাহ আগেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তিনি সস্ত্রীক দেশত্যাগ করেন। তার এক যুগের ক্রিকেট কেলেঙ্কারির দোসর হিসেবে চিহ্নিত ইসমাইল হায়দার মল্লিকও সে সময় দেশত্যাগ করে লন্ডন চলে যান।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পাপন। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন পাপন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।

জানা গেছে, পাপন প্রথমবার বিসিবির সভাপতি হন ২০১২ সালে। তারপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাপন। আর সবশেষ চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে দায়িত্ব নেন।

সেই কমিটির হিসেবে পাপনের বর্তমান মেয়াদ শেষ হতো ২০২৫ সালে। পাপন ছাডাও পরিচালকদের মধ্যেও অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরিই যুক্ত ছিলেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!