জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য আত্মত্যাগকারী ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি, মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিংসহ অন্যান্য বক্তারা বিশ্বব্যাপী ভাষাগত বৈচিত্র্য ও মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনজিও কমিটি অন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফ্রান্সিস এম. হাল্ট, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি লিলি গ্রে এবং জাতিসংঘের বহুভাষাবিষয়ক সমন্বয়কারীর প্রতিনিধি অ্যান লাফেবার।
এর আগে সকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। এসময় প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী মিশনের কর্মকর্তারা পাঠ করে শোনান।
আপনার মতামত লিখুন :