মালয়েশিয়ায় শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠান ESKL এর কার্যক্রম বন্ধ এবং এটি রক্ষায় অপচেষ্টায় লিপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীরা।
এই সময় প্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন , ১৫ লাখ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের তথ্য পাচার, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রবাসীদের নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে জর্জরিত দূতাবাসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপকর্ম দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা দেখে আসছে।
এ সময় সাধারণ প্রবাসীদের প্রতিনিধিরা বলেন তারা কোন ভাবেই শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, ১৫ লক্ষ সাধারণ প্রবাসীদের তথ্য পাচারকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিতে রাজি না সাধারণ প্রবাসীরা।
এই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে হাই কমিশনার মোঃ শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন সহ যারা কাজ করছে তাদের প্রত্যাহার করে বিচারের আহতায় আনতে হবে।
এই ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল এবং সাধারণ প্রবাসীরা যারা ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে থানায় ডেকে হয়রানি করার অনেক চেষ্টা করেছেন।
তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে পাসপোর্ট সিন্ডিকেট, কলিং সিন্ডিকেট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হয়ে জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কাজ করার মত বড় অভিযোগ প্রমান সহ আছে ।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে যে অবৈধ ভাবে রিট তৈরি করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইএসকেএল কে বৈধতা দেয়ার চেষ্টায় আছে সেটা অতি বিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা বলেন সাত দিনের মধ্যে কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সাধারণ প্রবাসীরা পরবর্তীতে হাইকমিশনে গিয়ে অমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়া হবে এবং যা যা করা দরকার সেটা করা হবে।
ওই পর্যন্ত তারা ঘোষণা দিয়েছেন রেমিটেন্স সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সঠিক সমাধান না হয়।
খুব তাড়াতাড়ি তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে আরো বিস্তারিত ঘোষণা দিবেন এই বলে তারা অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত করেছেন।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে মোকাম্মেল হোসেন, আমির হোসেন, সানাউল্লাহ আরিফিন মাসুদ, রিজওয়ান হাসান, খান তরিকুলসহ অনেকেই।