ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ইমিগ্রেশন জটিলতায় যা করবেন

আরফান হোসাইন রাফি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী জীবন মানেই নানা রকম ঝুঁকি কিংবা অপ্রত্যাশিত কোনো দুর্ঘটনা। যার শুরুটাই হয় ইমিগ্রেশন দিয়ে। প্রবাসী জীবনে ইমিগ্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই পর্যায়ে সামান্য অসতর্কতা বা ভুল তথ্য বড় ধরনের সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এমনকি বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকানো হয়, আবার কাউকে দেশেও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাই ইমিগ্রেশন জটিলতায় আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে থেকেই মাথায় রাখতে পারেন। কেননা সচেতনতাই নিরাপত্তার চাবিকাঠি।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি হলো আপনার পরিচয় ও যাত্রার বৈধতা প্রমাণ করা। তাই পাসপোর্ট, ভিসা, বোর্ডিং পাস, হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট, চাকরির কাগজপত্র, ইন্স্যরেন্স কপি, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ গুছিয়ে রাখুন। এক্ষেত্রে কাগজপত্রের হার্ডকপির পাশাপাশি স্ক্যানকপি মোবাইল বা ক্লাউডে রাখুন এবং পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ নিয়মিত চেক করুন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সময়মতো নবায়ন করুন।

আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সৎ উত্তর দিন
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা নানা প্রশ্ন করতে পারেন, বিশেষ করে আপনি নতুন কোনো দেশে গেলে বা আপনার প্রোফাইল সন্দেহজনক মনে হলে। অনেকেই তখন ভয় পেয়ে যান বা বিভ্রান্তিকর উত্তর দেন। যা কঠিন বিপদ বয়ে আনে। তাই আপনার যাত্রার উদ্দেশ্য, অবস্থান, থাকার জায়গা ও ফেরার সময় সম্পর্কে স্পষ্ট থাকবেন। কখনোই মিথ্যা তথ্য দেবেন না; সত্যটাই বলুন, সংক্ষেপে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা না দিয়ে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু বলুন।

রি-এন্ট্রি ও ভিসার শর্ত মেনে চলুন
অনেক প্রবাসী রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ করে দেশে ফেরেন, অথবা ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এক্ষেত্রে নিরাপদ থাকার জন্য আপনি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার আগে নিশ্চিত করুন রি-এন্ট্রি বা মাল্টিপল ভিসা বৈধ আছে কি না। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট ভিসায় কোনো কাজ বা ব্যবসা করবেন না। প্রয়োজনে স্পনসরের অনুমোদন বা ছুটির পত্র সঙ্গে নিন।

ব্যক্তিগত রেকর্ড ও আইনগত অবস্থান পরিষ্কার রাখুন
যদি আপনার নামে কোনো মামলা, জরিমানা, লোন বা আইনগত সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে ইমিগ্রেশনে আপনি ‘হোল্ড’ হয়ে যেতে পারেন। তাই ব্যাংক লোন বা কার্ড বিল সময়মতো পরিশোধ করতে হবে। দেশ ছাড়ার আগে ট্রাফিক ফাইন বা বকেয়া পরিশোধ করে যান। প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন দপ্তরে আপনার রেকর্ড ক্লিয়ার আছে কি না, যাচাই করুন।

শান্ত থাকুন ও সম্মানজনক আচরণ করুন
ইমিগ্রেশন পয়েন্টে হঠাৎ কোনো জিজ্ঞাসাবাদ বা অতিরিক্ত সময় লাগলে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন, যা উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং এ সময়ে ধৈর্য ধরুন এবং শান্ত থাকুন।  অফিসারদের প্রশ্নের উত্তর ভদ্রভাবে দিয়ে আইন অনুযায়ী সব সহযোগিতা করুন।