ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

আমিরাতে দুটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৮০জন

এসএম শাফায়েত, ইউএই ব্যুরো
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র

বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু’টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮০ জন শিক্ষার্থী।

দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল থেকে ৫৩ জন ও রাস আল খাইমাহ বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল থেকে ২৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

আবুধাবির শেখ খলীফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল থেকে অংশ নিয়েছে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে ৫২ জন বিজ্ঞান বিভাগের এবং ১ জন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে ২৪ জন ছাত্র ও ২৯ জন ছাত্রী অংশ নিচ্ছে এ বছরের পরীক্ষায়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত ৪৬ জন এবং অনিয়মিত ৭ জন।

 

শেখ খলীফা স্কুল ছাড়াও রাস আল খাইমাহ প্রদেশে বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরও একটি কেন্দ্রে একই সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যেখানে আমিরাত প্রবাসী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা দিচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১২ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। এরমধ্যে ১৬ জন ছাত্র ও ১১ জন ছাত্রী রয়েছে।

প্রথম দিনের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তা ও পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশিষ কুমার সরকার বলেন, অত্যন্ত মনোরম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে পরীক্ষা দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষার্থীরা। প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম তাদের নিজ দেশের পাঠক্রমের সঙ্গে বেড়ে উঠছে, যা আমাদের জন্য আশা জাগানিয়া।

দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং ভালো ফলাফলের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি গর্বিত। তারা প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করেছে।

অভিভাবকরা বলছেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড পরীক্ষার এ সুযোগ তাদের মাতৃভূমির সঙ্গে  শিক্ষাগত সংযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে।