কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে সার্চ এন্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টের প্রধান মেজর ওমর খলিফা আলরুমাইহি-এর সাথে এক বৈঠক হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাতারের সেহলিয়া এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের সফরজেল এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অন্যদিকে মেজর আলরুমাইহি দূতাবাসের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশিদের সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে তার সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
কাতারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের এবং জেলখানায় অবস্থানকালে তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে মেজর আলরুমাইহি বলেন,
‘বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিগণকে কাতারের আইন বহির্ভূত কার্যক্রম ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি না নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করায় গ্রেপ্তার করা হয়। দূতাবাস তথা বাংলাদেশের সাথে ভাতৃ-প্রতিম সুসম্পর্ক বিবেচনায় আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে সাজা প্রদান না করে প্রশাসনিক নির্দেশে প্রায় সকলকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, অনেক সময় অনেক বাংলাদেশিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে কাতারের মাঠপর্যায়ে কর্মরত নিম্নপদস্থ পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার করানো হয়।
এ বিষয়ে মেজর আলরুমাইহি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সময় পেয়ে থাকেন। এ পর্যায়ে তারা সফরজেল কর্তৃপক্ষ বা যে কোন পেশাদার আইনি সহযোগিতা নিতে পারেন। রাষ্ট্রদূত কোন মিথ্যা অভিযোগে বাংলাদেশিদের অযথা হয়রানীর বিষয়ে কাতারের পুলশের বিশেষ মনোযোগ কামনা করেন।
আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দূতাবাস হতে মিশন উপপ্রধানসহ শ্রমকল্যাণ উইং-এর কাউন্সিলরগণসহ ডিপোর্টেশন সেকশন প্রধান ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল হাজিরিসহ সার্চ এন্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :