পর্তুগালের বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গত রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় দেশটির রাজধানী লিসবনে বিএনপি উভয়পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যা জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ), সামসুজ জামান, গ্লিলমান, জামিল ও জুবেল। তারা প্রত্যেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতদূর জানি পর্তুগাল বেজা শহর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামিল আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির কোনো পদধারী না। যদি পর্তুগাল বিএনপির কেউ এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এঘটনায় পর্তুগালের লিসবনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পিএসপি) ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের বলেন, সহিংসতায় সাতজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দাঁত ভাঙা, পা ও পেটে আক্রমণ, মাথায় কাটা, ছুরির আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত চারজন আমাদের পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য জন্য আসলে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। হামলায় যারা আহত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসে তাদের মধ্যে একজনের কোমরে এবং অপর দুইজনের মাথায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করতে লিসবন মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশিদের দু’পক্ষের মধ্যে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশি পাড়ায় নামধারী সন্ত্রাসীরা এই হামলায় চালায়। আমি যতটুকু জানি হামলার পর থেকে পর্তুগালের গোয়েন্দা সংস্থা অস্ত্রধারী হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। সর্বোপরি এই ঘটনায় পর্তুগীজদের কাছে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমি এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
আপনার মতামত লিখুন :