প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা নিয়ে কাজ করছে আশার ইমিগ্রেশন। বাংলাদেশীরা অন্য যে দেশেই আছেন তাদের সকল বিষয়ে সহায়তা করে থাকে আশার। ডকুমেন্টেশন সংশোধন, আইনি সহায়তা, আর্থিক দিক নির্দেশনা সহ মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে তারা। এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয় আশারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ আশ্রাফি’র সাথে। তিনি জানান তাদের উদ্দেশ্য ও কর্মকান্ড সম্পর্কে।
প্রশ্ন: আপনাদের মূল উদ্দেশ্য কি ?
খালেদ আশ্রাফি: বাংলাদেশী প্রবাসী যারা, যারা দেশের বাইরে আছে তাদের ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দেওয়া, সেই সাথে বিদেশে যারা আছেন তাদের মানুষিক ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা গুলো, যেমন- বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করে সেটা কত সুন্দরভাবে করা যায় সেটা আমরা তাদের সাপোর্ট দিয়ে যত সহজে করে দিতে চায়।
প্রশ্ন: আপনার পরিচয়?
খালেদ আশ্রাফি: আমি খালেদ আশরাফি, আমি লাইসেন্সেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কলসালটেন্ট, আমি কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন বোর্ডের একজন মেম্বার, আমরা কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করতাম পরে দেখলাম বাংলাদেশ থেকে অনেক দেশেই মানুষ যাচ্ছে, বিভিন্ন সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে, সকল প্রবাসীদের ডকুমেন্টেশনের কাজ করে থাকি।
প্রশ্ন: প্রবাসীদের কি কি সমস্যা হয়?
খালেদ আশ্রাফি: যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের অনেকের পাসপোর্টে ভুল বা সমস্যা থাকে, নামে ভুল, বয়স ভুল, ঠিকানা ভুল, বার্থ সার্টিফিকেট, ভোটার আইডি কার্ড, মেরিজ সার্টিফিকেট মিসটেকস আছে ডকুমেন্টেশন কারকেশনের পুরা সাপোর্ট আমরা দিয়ে থাকি।
যারা বিদেশে চলে গেছে বা বিদেশে আছে তাদের পরিবার আছে, ভাই বোন আছে, ছেলে মেয়ে আছে তাদের স্কুল কলেজের ফি দেওয়া, যাদের পরিবার হসপিটালে ভর্তি হয় বা হসপিটালে নিয়ে যাওয়া লাগে, মেডিসিন কেনার প্রয়োজন পরে, জমি জমার কাগজপত্র নাই সেগুলা কিভাবে সংগ্রহ করবে, এই ধরনের সকল সাপোর্ট আমরা দিয়ে থাকি।
প্রশ্ন: আপনারা কি সহযোগিতা করবেন?
খালেদ আশ্রাফি: আমাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমরা রুগীদের খোঁজ খবর নেওয়া। যারা পরিবারের সাথে কোনভাবেয় যোগাযোগ করতে পারেনা তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে আমরা তাদের হয়ে রুগীর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে একজন অভিভাবকের মত সকল কাজ করবো এবং বাসা পর্যন্ত পৌছায় দিবো। কেউ একজন ইটালিতে তার পরিবারের সাথে কোনভাবেয় যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তার পরিবারকে খুঁজে বের করে দিবো, কোনো সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমাদের একজন প্রতিনিধি গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিবে নিয়মিত ঔষধপত্র লাগলে সেটা আমরা কিনে দিবো তার হয়ে, নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। আমার হসপিটালে পৌছে দিবো ইমারজেন্সি হলে। প্রবাসীদের সকল প্রকারের ডকুমেন্টেশনের কাজ, জমি জমার কাজ আমরা করে দিয়ে থাকি, প্রবাসীদের লিগ্যাল কাজ আমরা করে দিবো।
প্রশ্ন: অনেকে বিদেশে যেতে প্রতারণার শিকার হয় সেখত্রে আপনারা কি করবেন?
খালেদ আশ্রাফি: আমরা লিগাল প্রসেস কিভাবে বিদেশে যাবে, যেতে প্রাথমিক অবস্থা অর্থাৎ পাসপোর্ট থেকে শুরু করে একদম ফ্লাই করা পর্যন্ত সকল কাজ ডকুমেন্ট এর কাজ প্রসেসের কাজ আমরা করে থাকি। যিনি বিদেশে যাবেন তারা যেনো বিদেশ যেতে সকল সার্ভিস ঠিকভাবে পায় সেটা আমরা কনফার্ম করবো। তিনি আরো বলেন যে পরিমানে মানুষ বিদেশে আছে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, যারা এই সুবিধা বঞ্চিত থেকে যায় আমরা তাদের সুবিধা দিতে চায়।
প্রশ্ন: গ্রাম পর্যায়ে অনেক পরিবারের সদস্য বিদেশের থাকে তাদের কি সুযোগ সুবিধা দিবেন আপনারা?
খালেদ আশ্রাফি: গ্রাম পর্যায়ে সকল জেলারই মানুষ বিদেশে আছে। তাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি নেই। তবে আমরা মাঠ পর্যায়ে যেসব এনজিও, বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্ট আছে তারা আমাদের হয়ে ও কাজ করবে বলে আমরা কন্টাক করে রেখেছি। তারা বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্ট বিধায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার সম্ভবনা খুব কম। ধরুন বারিশালের একটা গ্রামে তার স্কুলে বেতন দিতে হবে, টাকাটা পাঠাতে পারছে না সেক্ষেত্রে আমাদের পেমেন্ট দিলে আমরা সেটা দিয়ে দিবো।
বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের কাছে যোগাযোগ করলে তারা সকল প্রকার সহযোগিতা, ডকুমেন্টশনের কাজ করে দিবে বলে জানান খালেদ আশ্রাফি।
আপনার মতামত লিখুন :