একসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য ভারতীয়দের আবেদনের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষই ভিসা পেতেন। কিন্তু এবার আর তেমনটি হচ্ছে না। বদলেছে নিয়মকানুন, পাল্টেছে চিত্র। সম্প্রতি নতুন ভিসা নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ভিসার আবেদন বাতিলের হার রেকর্ড সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে ভারতীয় পর্যটকরা হতাশার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা দেখছেন। মঙ্গলবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই খবর সামনে আনা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা পর্যটকদের জন্য ভিসার কঠোর নীতি কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে যারা দেশটিতে গিয়ে হোটেলে থাকবেন, তাদের সেই হোটেলের বুকিংয়ের প্রমাণ ও বিমানের টিকিটের কপি জমা দিতে হবে।
এছাড়া যারা স্বজনের বাড়িতে থাকার পরিকল্পনা করবেন, তাদের সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে হবে। ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্সি প্যাশিও ট্রাভেলসের ডিরেক্টর নিখিল কুমার বলেন, ‘‘বিমানের টিকিট ও হোটেলের বুকিং কনফার্ম থাকা সত্ত্বেও আমিরাতের ভিসার আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, আবেদন বাতিল হওয়ায় হোটেল বুকিং, বিমানের টিকিট বুকিং, ভিসা ফির জন্য অনেক অর্থ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবেদনকারীদের। এক্ষেত্রে ভিসা না পেলেও কারও কারও ক্ষেত্রে ভিসা ফির ১৪ হাজার রুপি ও বিমানের টিকিট বাতিলে আরও প্রায় ২০ হাজার রুপি ব্যয় হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী, একজন পর্যটককে তার হোটেলের রিজারভেশনের প্রমাণ, বিমানের টিকিট, রিটার্ন টিকিট দেশটির ইমিগ্রেশন পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এছাড়া দুবাই যাওয়ার মতো অর্থ ব্যাংকে আছে কি না, তা নিশ্চিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে। পর্যটককে দেশটিতে যাওয়ার আগের শেষ ৩ মাসের বেতনও দেখাতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন দাখিল না করাতে গড়পরতা ভিসা পাচ্ছেন না সব ভারতীয়।
আপনার মতামত লিখুন :