ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মরুর বুকে প্রশান্তির ছোঁয়া

মুহাম্মদ শাহজাহান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম

মরুর বুকে প্রশান্তির ছোঁয়া

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই। বিলাসবহুল আর আকাশচুম্বী অট্টালিকার শহর ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি ভ্রমণপ্রেমিক মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে নাম রয়েছে এই বাণিজ্যিক রাজধানীর। আকাশচুম্বী অট্টালিকার পাশেই দুবাইয়ের মরুর বুকে মানবসৃষ্ট আল-কুদরা লেক। 
দুবাইতে একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন উপভোগ করার ও শান্ত দৃশ্য দেখার জন্য আল-কুদরা লেকই সৌন্দর্যের প্রতীক। একটি সত্যিকারের মরুভূমি, এই জনপ্রিয় ইকো-পর্যটন গন্তব্য বন্যপ্রাণী-পর্যবেক্ষক এবং প্রকৃতির সঙ্গে পুনঃসংযোগকারীদের  জন্য এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 
দুবাই শহরের অদূরে দুবাই আল-আইন বা হাত্তা-ওমান সড়ক হয়ে আল মারমুম মরুভূমির সাইহ আল-সালাম সড়কের মরুভূমির ঘূর্ণয়মান টিলাগুলোর মধ্যে অবস্থিত। এই বিস্তৃত মানবসৃষ্ট হ্রদগুলো তাদের আশপাশে সুন্দরভাবে মিশেছে।  হ্রদগুলো কৃত্রিম হতে পারে কিন্তু প্রকৃতির ছোঁয়ায় মন দোলে সারাক্ষণ। 
যখন পাখি ডাকবে এবং জলের ওপর দিয়ে মৃদু বাতাস বয়ে যাবে তখন পক্ষীবিদরা এখানে জড়ো হওয়া অনেক প্রজাতির পাখি দেখে মুগ্ধতায় মজবেন। বিদেশি রাজহাঁস, ল্যাপউইং এবং হাঁস, সেইসঙ্গে ফ্ল্যামিঙ্গোর (আমদানি করা) একটি বড় ঝাঁক, যারা লাল, কাঁটাযুক্ত পায়ে অগভীর জায়গায় বিশ্রাম নেয়। এ সময়  প্রকৃতিপ্রেমীরা ক্যামেরায় মশগুল থাকে। 


মরুভূমির শেয়াল বা অধরা আরবীয় অরিক্স চারপাশে চড়ে বেড়াতে বা ঘুরে বেড়াতে দেখতে পাওয়া যায়। এ শান্ত মরুর লেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বাস করে। যেখানে আছে হরিণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও নানা প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে অনবরত ঘুঘুর ডাক আপনাকে নস্টালজিয়ায় নিয়ে যাবে। সেখানে শত শত কালো এবং সাদা রাজহাঁস আছে। যারা হ্রদের শান্ত জলে সাঁতার কাটতে ব্যস্ত।  দিনে রোম্যান্সের ছোঁয়া যোগ করতে কাছের লাভ লেকে যেতে বাধা নেই। আল-কুদরা হ্রদ থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে এই কৃত্রিম জলের দৃশ্য দুটি পরস্পর সংযুক্ত হৃদয়ের অনুরূপ এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো ও ছবি তোলার জন্য একটি সত্যিকারের বায়ুমণ্ডলীয় স্থান। 
আল-কুদরা লেক ২৪ ঘণ্টাই খোলা। সেই লেকে পর্যায়ক্রমে পুলিশ পাহারা দেয়। যে কোনো সময় ক্যাম্প বা ছোট্ট তাবু করা নিরাপদ। লেকের পাশেই সবুজ রঙের গাছ ঘিরে সবাই মিলে বিভিন্ন পার্টি করা যায়। নেই কোনো প্রবেশ ফি। লেকের মোহনীয় এবং শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক সেখানে ভিড় করেন। এছাড়া সেখানে বসবাসরত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যান। 
 

আরবি/এমআরএন

Link copied!