ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

সৌদি আরবের সফল ব্যবসায়ী আলী হোসেন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

সৌদি আরবের সফল ব্যবসায়ী আলী হোসেন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্বপ্ন ও বাস্তবতার সংযোগ ঘটাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশের আলী হোসেন। সময়ের বিবর্তনে হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী। দক্ষতা, একাগ্রতা ও পরিশ্রমের মিশেলে গড়ে তোলেন জাছেম আল জাছেম। নিজের ব্যবসা ও শ্রম বাজার নিয়ে কথা বলেছেন রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সৌদি আরব প্রতিনিধি, শাহজাহান সোহাগ।

রূপালী বাংলাদেশ : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনি?
আলী হোসেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ। ভালো আছি।
রূপালী বাংলাদেশ : প্রথমেই ধন্যবাদ আলী হোসেন, আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য। আপনার প্রবাস জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সেই সময়টা সম্পর্কে কিছু বলুন।
আলী হোসেন : ১৯৯১ সালে সৌদি আরবে আসার সময় আমার বুকভরা স্বপ্ন ছিল। তবে শুরুতে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিন্নতার কারণে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছিল। ভাষা না জানার কারণে আমি এখানকার স্থানীয়দের কথা বুঝতাম না। এতে করে কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তাম। আরবি সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু না জানার কারণে তাদের আচার-আচরণ বুঝতে একটু অসুবিধায় পড়তে হতো। তবে প্রথম থেকেই আমার মধ্যে চেষ্টা ছিল। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং কখনও আশা ছাড়িনি।
রূপালী বাংলাদেশ : আপনি এখন একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী। বর্তমানে আপনার ব্যবসার অবস্থা কেমন?
আলী হোসেন : বর্তমানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘জাছেম আল জাছেম’ কোম্পানি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। যারা বিভিন্ন কারিগরি কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। তারা আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে নিয়মিত বেতনের টাকা দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠাচ্ছেন। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রূপালী বাংলাদেশ : আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
আলী হোসেন : আমি ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের কথা ভাবছি। সেই সঙ্গে আমাদের আরেকটি সংকট রয়েছে। সেটি হল দক্ষ কর্মী বা শ্রমিক। তাই দক্ষ কর্মী তৈরিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। শুধু প্রবাসে নয়; এবার দেশে ফিরে নতুন উদ্যোগ নিতে চাই। যাতে দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখতে পারি।
রূপালী বাংলাদেশ : প্রবাস জীবনে কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে সমস্যা মনে হয়েছিল? 
আলী হোসেন : ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা, স্থানীয় নিয়মকানুন এবং সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে, কোভিড ১৯ করোনাভাইরাস আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তবে আমি সব সময় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। আবার নতুন ভাবে সবকিছু শুরু করেছি। বলতে পারেন হাল ছেড়ে দিইনি।
রূপালী বাংলাদেশ : নতুন প্রবাসীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
আলী হোসেন : নতুন প্রবাসীদের জন্য আমার পরামর্শ হল, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধারণ করুন। শেখার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যান। কারণ দক্ষতা বাড়াতে পারলে অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
রূপালী বাংলাদেশ : আপনার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ, আলী হোসেন, রূপালী বাংলাদেশকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য।
আলী হোসেন : ধন্যবাদ, রূপালী বাংলাদেশকে। আমি আশা করি, আমার গল্প অন্যদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হবে। সেই সঙ্গে রূপালী বাংলাদেশ দেশ ছাড়িয়ে প্রবাসে, সকল প্রবাসীর মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেবে। প্রবাসীদের সুখ দু:খের কথা ছড়িয়ে দেবে সবার মাঝে।
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!