মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জার্মানিতেও ১৬ ডিসম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে জার্মানির জাতীয়তাবাদী যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এই উপলক্ষে রাজধানী বার্লিনের ওয়াইন স্ট্রাসের মিলনায়তে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুবনেতা আব্দুল হান্নান রুহেল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতা মো. সোহেব আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় সংগীতের পর শুরু হয় বিজয়ের বিশেষ আলোচনা। জার্মান বিএনপির সভাপতি জনাব আকুল মিয়া`র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গনি মিয়া। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন দলের শীর্ষ নেতা অপু চৌধুরী, মোস্তাক মান্নান, সৈয়দ জুলফিকার মনা, শরিয়ত খান মিঠু, শাহ আলম, আনহার মিয়া, মো. জসিম সিকদার, বাবুল বেপারী, সাঈদুর রহমান সাঈদসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল নায়কদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দেশ গঠনে এবং দেশের মানুষের কল্যানে জাতীয়তাবাদী সকল শক্তিকে কাজে লাগানোর আহবান জানান। বলেন, বাংলাদেশ কখনোই বেহাত হবেনা। দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন বক্তারা। একই সাথে বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী ও দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
এ সময় যুবদল নেতা একরাম, মাহবুবুর রহমান, শাকিল খান, আরিফ, আব্দুস শহীদ, রেদওয়ান ও ইয়াসিন ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, সারোয়ার, আলিফ, রফিকুল, আবু তাহের, আসিফ আহমেদ, মিশু, পলাশ ও জাকিরসহ আরো অনেকে বলেন, জুলাইয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে সবার সাহসী ভূমিকার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের আগ্রাসন মুক্ত হয়েছে। একই সাথে পতিত সরকার যাতে আবারো রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারে সে কারনে সবাইকে হুঁশিয়ার থাকারও আহবান জানান বক্তারা শেষে যুবনেতা শফিকুল ইসলাম সাগরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন সাগর, নিজাম ও সৌরভসহ আরো অনেকে। বিজয় দিবসের এমন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে খুশী সর্বস্তরের প্রবাসীরা। অনুষ্ঠান শেষে প্রবাসীদের কৃতজ্ঞতা জানান যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজকরা।
আপনার মতামত লিখুন :