হজ ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তির অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ। কেউ হজ ফরজ হওয়ার পরও আদায় না করলে, বড় গুনাহগার হবে।
হজের ফরজ ৩টি
১. ইহরাম বাঁধা।
২. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ।
৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা।
হজের ওয়াজিব ৬টি
এক. ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়গুলো মধ্যে ৭ বার সায়ি করা।
দুই. অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যদয় পর্যন্ত একমুহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা।
তিন. মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।
চার. ‘হজে তামাত্তু’ ও ‘কিবরান’ কারীরা ‘হজ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
পাঁচ. ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল কাটা।
ছয়. মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালে তাওয়াফ করা।
এ ছাড়াও আর যে সমস্ত আমল রয়েছে, এর সবগুলো সুন্নত অথবা মুস্তাহাব।
হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত
১. মুসলিম হওয়া। ২. আকল থাকা। অর্থাৎ বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া ৩. বালেগ হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৪. আজাদ বা স্বাধীন হওয়া। অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া। ৫. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :