বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

আকিকা দেয়ার নিয়ম

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

আকিকা দেয়ার নিয়ম

মায়ের কোলে সন্তান। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত অনুষ্ঠান হচ্ছে সন্তানের আকিকা দেওয়া। সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে মূলত আকিকা বলে। আকিকার মাধ্যমে পরিবার সন্তানের জন্য দোয়া করে। আল্লাহর কাছে তার সুস্থ ও সুখী জীবন কামনা করে। আকিকা একটি ইবাদত।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসারে, ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল ও মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা উত্তম।

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি বলেছেন, ছেলের জন্য দুটি ছাগল আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল দিতে হবে। (জামে তিরমিজি ১৫১৩)

তবে, ছেলে সন্তানের জন্য একটি পশু দিয়ে আকিকা করলেও তা আদায় হয়ে যায়।

ইসলামিক শরিআত অনুযায়ী, একাধিক সন্তানের জন্য একটি গরু বা মহিষ দ্বারা আকিকা করা সম্ভব, তবে ছাগল দিয়ে আকিকা করাই উত্তম, কারণ এটি বিশেষভাবে হাদিসে বর্ণিত।

আকিকা কোনদিন করা উত্তম?

সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। এক হাদিসে সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১৫২২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তার দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪)

তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৬৯)

অবশ্য একুশ দিনের মধ্যে করা না হলে পরবর্তীতেও তা আদায় করা যাবে। প্রসঙ্গত, সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে।

উম্মে কুরজ (রা.) বলেন, আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ছেলের জন্য এক ধরনের দুটি বকরি এবং মেয়ের জন্য একটি বকরি আকিকা করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৮৩৪)।
 
আকিকার জন্য সাধারণত ছাগল, উট, গরু বা মহিষ ব্যবহার করা হয়।

আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে নবীজি বলেছেন, ‘‘যার কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, সে যেন উট, গরু বা ছাগল দিয়ে আকিকা করে। (আলমুজামুল আওসাত ২/৩৭১)
 
একটি গরু, মহিষ বা উট দ্বারা একাধিক সন্তানের আকিকা করা যায়, যেমনটা হযরত আনাস (রা.) উট দ্বারা তার সন্তানদের আকিকা করেছিলেন। (তবারানি, কাবির)
 
কোরবানি ও আকিকা একত্রে করা যায়, তবে আলাদা আলাদা করা উত্তম। যদি একসাথে করা হয়, তবে আল্লাহর আদেশে দুটোই আদায় হবে।

কারণ আকিকা ও কুরবানী উভয়ই এক ধরনের নুসুক (ইবাদত) হিসেবে গণ্য হয়। তবে, অধিকাংশ আলেমের মতে, এই দুটি ইবাদত পৃথকভাবে করা উচিত, যাতে তাদের নিজস্ব পূর্ণতা পাওয়া যায়।

আকিকার গোশত

আকিকা করা পশুর গোশত পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজনসহ সবাই খেতে পারেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আকিকার গোশত নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে। (মুসতাদরাকে হাকেম ৭৬৬৯)

আকিকা শর্ত

আকিকা অবশ্যই নবজাতকের জন্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এর মাধ্যমে তার জন্য দোয়া ও বরকত কামনা করা হয়, যা পরিবার ও সন্তানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে।

আকিকা নবজাতকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী রীতি, যা নবজাতকের জীবনে আল্লাহর বরকত ও নিরাপত্তা কামনা করতে সাহায্য করে। ইসলামে এটি সুন্নত হিসেবে পালন করা উচিত এবং শরীআতের নির্দেশনা অনুসরণ করে সঠিক পশু দ্বারা এটি করা উচিত।

যদিও আকিকার পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু নমনীয়তা রয়েছে, তবে ছাগল দিয়ে আকিকা করা উত্তম। আকিকা ইবাদতের মাধ্যমে সন্তানের জন্য দোয়া করা এবং গোশত বিতরণ করা, পরিবারের মধ্যে আনন্দ ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে।

আকিকার দোয়া

আরবি الله حجيي أكيكاتو ابن فولانين دموهابيداميهي ولحموها بلاحميها وعظمها بيازمها وزيلدوها بزلاديهي وشا روحها بشري الله الله ، الله فيدا علي ابن مينار

উচ্চারণ

আল্লাহুম্মা হাজিহি আকিকাতু ইবনি ফুলানিন দামুহাবিদামিহি ওয়া লাহমুহা বিলাহমিহি ওয়া আজমুহা বিআজমিহি ওয়া জিলদুহা বিজিলাদিহি ওয়া শা রুহা বিশাররিহি আল্লাহুম্মাজআলহা ফিদাআল্লি ইবনি মিনান্নার।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!