ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

মেসওয়াক করার নিয়ম

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
মেসওয়াক। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন সুন্নত আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মিসওয়াক। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেসওয়াক করতেন। মিসওয়াক করা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। মহানবী (সা.) থেকে মিসওয়াক প্রসঙ্গে ৪০টি হাদিস বর্ণিত আছে।

মেসওয়াকের গুরুত্ব

মহানবী (সা.) বলেছেন, যখনই জিবরাইল (আ.) আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কাবোধ করলাম যে (মিসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সম্মুখ দিক ক্ষয় করে দেব (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ২২২৬৯)

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন।’ (আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাত, হাদিস নং ৩৫২)

মহানবী (সা.) বলেছেন, নবী-রাসুলদের সুন্নত হলো চারটি। ১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা, (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫১)

মেসওয়াক কী?

মেসওয়াক হলো গাছের ডাল বা শিকড়। যা দিয়ে দাঁত মাজা ও পরিষ্কার করা হয়। দাঁত মাজাকেও মেসওয়াক বলা হয়। হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক মেসওয়াক দ্বারা বুঝা যায়, মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করা।

মিসওয়াক করার সুন্নত পদ্ধতি

১/ মিসওয়াক যয়তুনের ডালের হওয়া উত্তম।
২/ মিসওয়াক কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মতো মোটা ও এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উত্তম।
৩/ মিওয়াক কাঁচা ডালের এবং নরম হওয়া ভালো।
৪/ মিসওয়াক ডান হাতে ধরা মুস্তাহাব।
৫/ মিওয়াক ধরার সুন্নত পদ্ধতী হলো- কনিষ্ঠ আঙ্গুল মিসওয়াকের নিচে, বৃদ্ধ আঙ্গুলের সামনের অংশ উপরের দিকে এবং বাকি আঙ্গুলগুলো (মাঝের তিন আঙ্গুল) মিসওয়াকের ওপরে রাখবেন।

৬/ বিসমিল্লাহ বলে মিসওয়াক শুরু করা উত্তম।
৭/ মিসওয়াক করার আগে ভিজিয়ে নেওয়া ভালো।
৮/ ডান হাতে মিসওয়াক নিয়ে ডান দিক থেকে মিসওয়াক শুরু করা এবং দাঁতের প্রস্থে ও জিহ্বায় লম্বালম্বি মিসওয়াক করা সুন্নত।

যেসব সময় মিসওয়াক করবেন 

১/ নামাজের আগে।
২/ ঘুম থেকে উঠার পর।
৩/ খাবার খাওয়ার পর।
৪/ অজুতে কুলি করার আগে মিসওয়াক করা। অনেকে অজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।
৫/ মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত বা কোনো মজলিসে যাওয়ার আগে।
৬/ মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।
৭/ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।

(আল বিনায়াহ : ১/২০৪, আদ্দুররুল মুখতার : ১/১১৩, রদ্দুল মুহতার ১/১১৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৪৪)