ফরজ গোসলের নিয়ম হাদিস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

ফরজ গোসলের নিয়ম হাদিস

ছবি: সংগৃহীত

ফরজ গোসল ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম অনুসরণ করলে শরীর ও মন শুদ্ধ থাকবে এবং আল্লাহর কাছে পূর্ণ তাওবা ও শুদ্ধতা অর্জন করা সম্ভব হবে। ফরজ গোসল সম্পর্কে হাদীসে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।  

এখানে ফরজ গোসলের হাদীস ও নিয়ম দেওয়া হলো-

১. হাদীস:
হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন: "যে ব্যক্তি জেনেবুঝে ফরজ গোসল করতে ভুলে যায়, সে গোসল না করা অবস্থায় নামাজ পড়লে তার নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না, যতক্ষণ না সে ফরজ গোসল করে।"
(সহীহ মুসলিম)

এটি স্পষ্ট নির্দেশনা দেয় যে, ফরজ গোসল না করলে নামাজ অগ্রহণযোগ্য হবে। অর্থাৎ, ফরজ গোসল না করলে নামাজ আদায় করা সম্ভব নয় এবং সে অবস্থায় তার উপাসনা বা দোয়া আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

২. ফরজ গোসলের সাধারণ নিয়ম:
ফরজ গোসলের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে:

নিয়মিত গোসলের সময়:

জানব: যদি কোনো ব্যক্তি জানব (যেন যৌন সম্পর্ক) করে তবে তাকে ফরজ গোসল করতে হবে।
মাসিক বা নিফাস: মহিলাদের যদি মাসিক (ঋতুস্রাব) বা নিফাস (জন্ম পরবর্তী রক্তপাত) হয়ে থাকে, তবে ওই অবস্থার পর গোসল ফরজ।
গোসলের প্রক্রিয়া:

মাথা ও পুরো শরীর ধোয়া: গোসলের সময় মাথা, কান, নাক, চোখসহ পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা উচিত। শরীরের কোনো অংশ শুকনো রেখে গোসল করা যাবে না।
পা ধোয়া: পায়ের পাতাও ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
প্রথমে হাত ধোয়া: গোসল শুরু করার আগে হাত ধোয়া জরুরি।
মুখ ও নাক ধোয়া:

মুখ এবং নাক ভালোভাবে ধুতে হবে। বিশেষত, নাকের ভিতর পানি প্রবাহিত করার মাধ্যমে শুদ্ধতা অর্জন করা।
ইচ্ছাকৃতভাবে পানি ছিটানো: গোসলের সময় শরীরের প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছানো নিশ্চিত করা উচিত। একে ‘ইরাদতান (ইচ্ছাকৃতভাবে)’ বলা হয়। অর্থাৎ শরীরের কোন অংশেও পানি না পৌঁছানো যাবেনা।

কোনো বাধা না থাকা: গোসলের সময় কোনো বাধা (যেমন, মেহেদী, তেল ইত্যাদি) থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে যাতে পানি সরাসরি ত্বকে পৌঁছাতে পারে।

৩. ফরজ গোসলের হাদীস:
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি জানব (যৌন সম্পর্ক) করেছে, তাকে গোসল ফরজ করতে হবে।"
(বুখারি ও মুসলিম)

এটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, যৌন সম্পর্কের পর ফরজ গোসল করা আবশ্যক।

৪. গোসলের সময় দোয়া:
গোসল করার আগে নিম্নলিখিত দোয়া পাঠ করা উত্তম: "بِسْمِ اللَّهِ"
(বিসমিল্লাহ)
(আল্লাহর নামে)

গোসল শেষ করার পর দোয়া বলা যেতে পারে: "الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي"
(আলহামদুলিল্লাহ, যিনি আমাকে সুস্থ রাখেন।)
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!