লাইলাতুল কদর

রমযানের শ্রেষ্ঠ রাতের গুরুত্ব ও ইবাদতের ফজিলত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

রমযানের শ্রেষ্ঠ রাতের গুরুত্ব ও ইবাদতের ফজিলত

ছবি: ইন্টারনেট

লাইলাতুল কদর (শব-ই-কদর) ইসলামের একটি পবিত্র রজনী, যা রমযান মাসের শেষ দশ রাতের যেকোনো এক রাতে হতে পারে, তবে এটি বিশেষভাবে ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯তম রাতের মধ্যে একটি হতে পারে। আল্লাহ তাআলা এই রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং এই রাতকে মকবুল (অত্যন্ত মূল্যবান) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর গুরুত্বের কারণে কুরআন এবং হাদিসে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে।

একটি প্রসিদ্ধ হাদিস হলো:

হাদিস ১: আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (শব-ই-কদর) রাতে ইবাদত করবে বিশ্বাস এবং আশা সহকারে, তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
(সহীহ বুখারি, হাদিস: ৩৫)

হাদিস ২: আবু হুরায়রা (রাঃ) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

লাইলাতুল কদর এক হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
(সুরা কদর, আয়াত: ৩)

হাদিস ৩: আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে (শব-ই-কদরে) ঈমান ও আত্মবিশ্বাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
(সহীহ মুসলিম)

এছাড়া, রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে শিখিয়েছেন যে, লাইলাতুল কদর একটি অত্যন্ত বরকতময় রাত এবং সেই রাতে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত (মাফ) ও নাজাতের (নিরাপত্তা) প্রচুর দান হয়। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য বিভিন্ন দোয়াও কবুল করেন।

তবে, লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট কোনো রাতে পরিলক্ষিত হয় না, এবং তাই মুসলিমদের প্রতি পরামর্শ হচ্ছে রমযান মাসের শেষ দশ রাতগুলোতে ইবাদত বেশি করে করা উচিত, বিশেষত ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯তম রাতগুলোতে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!