ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ফজরের নামাজের পর সর্বোত্তম জিকির কোনটি

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ১০:১১ এএম

ফজরের নামাজের পর সর্বোত্তম জিকির কোনটি

ফাইল ছবি

আল্লাহ নির্ধারিত দৈনিক নামাজ ফরজ পাঁচ ওয়াক্ত। প্রতি নামাজের পরে কিছু বিশেষ দোয়া, তাসবিহ ও জিকির রয়েছে। এগুলোর বিনিময়ে অনেক সওয়াব ও পুণ্য লাভ হয়। এসব দোয়া ও জিকির সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা এসেছে।

ফজর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের গুরুত্ব ও ফজিলতও বেশি। এ সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও ফজরের পর পড়ার মতো ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে। যেগুলো পড়ে মুমিন বান্দা নানাবিধ উপকার লাভ করতে পারে।

ফজরের নামাজের পর অর্থবহ চারটি কালেমার জিকির। যা প্রতিদিন পাঠ করলে প্রতিদান প্রাপ্তিতে অতুলনীয়। সকালের পুরো সময় ধরে ইবাদতের চেয়ে ওজনে ভারী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায়, চার কালেমা সমৃদ্ধ এই জিকির সকালবেলার সর্বোত্তম জিকির।

হাদিসে বর্ণিত সেই সেরা জিকিরটি কী? হাদিসের বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে একটি ঘটনা। ফজরের নামাজের পর লম্বা সময় নামাজের স্থানে বসেছিলেন উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়বিয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সঙ্গে কথা বললেন এবং সকালবেলার সর্বোত্তম জিকির সম্পর্কে তাকে জানালেন। হাদিসটি তিনি এভাবে বর্ণনা করেন-

উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়রিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যূষে (ফজরের নামাজ শেষ করে) তার কাছ থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের নামাজ আদায় করলেন তখন তিনি নামাজের জায়গায় ছিলেন।

এরপর তিনি দোহার পরে (সূর্য ওঠার বেশকিছু সময় পর) ফিরে এলেন। তখনও তিনি বসেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থায়ই আছো?

তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

‘আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর চারটি কালেমা তিনবার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ; তার সঙ্গে ওজন করলে এই কালেমা চারটির ওজনই বেশি হবে।

কালেমাগুলো হলো :

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদাআ নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।’

অর্থ: ‘আল্লাহ পবিত্র আর প্রশংসাও তার; এ পবিত্রতা ও প্রশংসা তার সৃষ্ট বস্তুর সমান। তার নিজের সন্তুষ্টু সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার আরশের ওজনের সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার বাণীসমূহ লেখার কালির পরিমানের সমান।’ (মুসলিম)

মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজর নামাজের পর হাদিসে উল্লেখিত কালেমা দ্বারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করা। পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনায় সবার হওয়া। আর তাতেই মিলবে প্রকৃত সফলতা।

আরবি/ এইচএম

Link copied!