ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, একটি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য নির্ধারিত সময়কাল হলো সর্বোচ্চ দুই বছর (২৪ মাস)। কোরআন ও হাদীসে এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু শিশুর পুষ্টি ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা এই সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, তাই এর পর বুকের দুধ খাওয়ানো ইসলামী বিধান অনুযায়ী হারাম এবং তা শিশুর জন্য উপকারী নয়।
কোরআনের নির্দেশনা:
সুরা বাকারা (২৩৩): "মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে। এ সময়কাল তাদের জন্য, যারা দুধ পান করানোর মেয়াদ পূর্ণ করতে চায়।"
সুরা লুকমান (১৪): "আর তার (সন্তান) দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে।"
এ দুই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্চ সময়কাল দুই বছরই।
হাদীস:
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন: "لا رضاع إلا في الحولين" (মায়ের দুধ পান করার সময় দুই বছরই)। (বুখারি)
এই হাদীসও প্রমাণিত করে যে, দুই বছরের বেশি শিশুকে দুধ খাওয়ানো ইসলামী শরিয়তের বিপরীতে।
দুধ খাওয়ানোর পরবর্তী বিষয়:
এতদূর পর্যন্ত শিশুকে দুধ খাওয়ানো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট, কিন্তু দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর আবারও যদি মায়ের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, তা শরিয়ত অনুযায়ী জায়েজ নয়। এর জন্য শিশুর শারীরিক ও মানসিক কোনো উপকারিতাও নেই।
অন্যান্য খাদ্য ও পুষ্টি:
ইসলামি শরিয়ত এও নির্দেশ দেয় যে, শিশুকে দুই বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে অন্য খাবারে অভ্যস্ত করতে হবে। আধুনিক যুগে, যেখানে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণে গুঁড়া দুধ ও অন্যান্য খাদ্য পাওয়া যায়, সেখানে দুই বছর পর মায়ের বুকের দুধের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :