আট কারণে রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্ব

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

আট কারণে রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্ব

ছবি: ইন্টারনেট

রমজান মাস ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাস এবং মুসলিমদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি একটি সংযমের মাস, যেখানে মুসলিমরা দিনভর সিয়াম (রোজা) রাখেন এবং নিজেদের আত্মিক উন্নতির জন্য নানা ইবাদত করেন। রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের আটটি কারণ উল্লেখ করা হলো:

১. কোরআন নাযিল হওয়া
রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফ নাযিল করেছেন, যা মুসলিমদের জন্য সঠিক পথ নির্দেশনা প্রদান করে। আল্লাহ বলেন, রমজান মাস এমন একটি মাস, যাতে কোরআন নাযিল করা হয়েছে...(সুরা বাকারা: ১৮)

২. লাইলাতুল কদর (শক্তিশালী রাত)
রমজান মাসে এক বিশেষ রাত, লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতের মধ্যে আল্লাহ তার বান্দাদের ইবাদত গ্রহণ করেন এবং তাদের গুনাহ মাফ করে দেন। (সুরা কদর)

৩. সিয়াম (রোজা) পালন করা
রমজান মাসে সিয়াম (রোজা) পালন করা মুসলিমদের উপর ফরজ। রোজা ইসলামের পঞ্চম রুকন, যা মন, দেহ ও আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রেখেই মুসলিমরা আল্লাহর কাছে পবিত্রতা লাভ করতে চেষ্টা করেন।

৪. দানের গুরুত্ব
রমজান মাসে দান-খয়রাতের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। এটি সহানুভূতির এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের একটি সময়। বিশেষ করে জাকাত (ধনীর ফয়সালা) দেওয়ার মাধ্যমে গরীবদের সাহায্য করা হয়।

৫. আত্মিক উন্নতি
রমজান মাস হল আত্মিক উন্নতির জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। এই মাসে মানুষ নিজেকে শুদ্ধ করার, গুনাহ থেকে বাঁচার এবং আল্লাহর দিকে আরও নিবেদিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করে।

৬. শরীরিক উপকারিতা
রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরের অনেক ধরনের উপকারিতা হয়, যেমন দেহের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা এবং মেটাবলিজম সঠিকভাবে কাজ করা।

৭. জীবনকে সুসংগঠিত করা
রমজান মাসে একেবারে নিয়মিত জীবনযাপন করা হয়, যেমন সেহরি ও ইফতার, নিয়মিত নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি। এটি মুসলিমদের জীবনকে আরও সংগঠিত করে এবং তাদের আধ্যাত্মিক জীবনকে শক্তিশালী করে।

৮. বিভিন্ন ইবাদত ও দোয়া গ্রহণের সুযোগ
রমজান মাসে বিভিন্ন ইবাদত যেমন নামাজ, তিলাওয়াত, দোয়া ও তাওবা আল্লাহর কাছে বেশি কবুল হয়। এই মাসে ইবাদত করার মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর কাছ থেকে পরিপূর্ণ বরকত লাভের আশায় থাকেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!