ঢাকা সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রমজানে যেভাবে আসবে আত্মশুদ্ধি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ছবি: ইন্টারনেট

রমজান মাস একটি বিশেষ সময়, যা শুধু দেহের নয়, আত্মারও পরিশুদ্ধির সুযোগ এনে দেয়। এর মাধ্যমে আত্মিক শক্তি অর্জন করার উপায় এবং গুরুত্বের ব্যাপারে কোরআন এবং হাদীসে যে নির্দেশনা রয়েছে, তা গভীরভাবে অনুসরণ করা উচিত। এই মাসের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে:

রোজা রাখার উদ্দেশ্য: আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে আমরা আল্লাহর প্রতি সতর্কতা ও সচেতনতা অর্জন করতে পারি (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। রোজা শুধু খাদ্য বা পানীয়ের সংযম নয়, এটি আমাদের আত্মিক পরিশুদ্ধি এবং সব ধরনের পাপাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।

দানের গুরুত্ব: রমজানে দান একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রমজানে দান করার সওয়াব অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক গুণ বেশি (তিরমিজী শরীফ)। এটি শুধুমাত্র সামাজিক দায়িত্ববোধই নয়, আত্মশুদ্ধির একটি অনন্য মাধ্যম।

কোরআন ও হাদীসের জ্ঞান অর্জন: রমজান মাস কোরআন নাজিল হওয়ার মাস, তাই কোরআন পাঠ ও তার অর্থ বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় কোরআনের অর্থ পড়ে আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়। পাশাপাশি, হাদীসের মাধ্যমে কোরআনের শিক্ষা প্রয়োগ করা জরুরি।

নফল নামাজ: রমজানে তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। নফল নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো তাহাজ্জুদ, যা রাতে ওঠে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করার সুযোগ দেয়।

শবে কদরের ইবাদত: রমজানের শেষ দশকে শবে কদর খুঁজে বের করা উচিত, কারণ এটি হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম (সাহীহ বুখারি)। এই রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত ও দোয়া করা উচিত।

আত্মশুদ্ধির জন্য খারাপ আচরণ এড়িয়ে চলা: রোজা রাখা শুধু খাওয়ার বা পান করার বিরত থাকা নয়; এটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে পবিত্র থাকার একটি সুযোগ। অপ্রয়োজনীয় কথা, ঝগড়া, গীবত, পরনিন্দা, খারাপ আচরণ থেকে বাঁচতে হবে। এতে আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে।