ঢাকা সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫

রহমতের রমজান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৫, ০৫:৪৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষার পর আবারও মুসলমানদের জীবনে ফিরে এলো পবিত্র রমজান মাস। রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের এই মাস আত্মসংযম, ইবাদত-বন্দেগি ও তাকওয়ার শিক্ষা দেয়।

হিজরি দ্বিতীয় সনে রোজা ফরজ হলেও, রোজার ইতিহাস অনেক পুরোনো। ইসলামের পূর্বেও বিভিন্ন ধর্মে রোজার প্রচলন ছিল। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—

হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, রোজার উদ্দেশ্য আত্মশুদ্ধি ও খোদাভীরুতা অর্জন। রমজানে ফরজ-ওয়াজিব ইবাদত পালনের পাশাপাশি গুনাহ থেকে বিরত থাকাও জরুরি।

রমজানে পানাহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ কেবল দিনের বেলার জন্য। রাতের সময়টি বিশ্রামের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। শিশু, অক্ষম ও বৃদ্ধদের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়। অসুস্থ, মুসাফির ও নারীদের বিশেষ অবস্থার জন্য সাময়িক ছাড় রয়েছে, তবে সুস্থ হলে পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা রাখতে হয়।

রমজানের মাস গণনার জন্য সৌরপঞ্জিকার পরিবর্তে চন্দ্রপঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়। এতে একেক দেশে রোজার সময় ভিন্ন ঋতুতে পড়ে, ফলে প্রতিটি দেশেই মুসলমানরা সব ঋতুতেই রোজা রাখার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।

রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মসংযম ও নৈতিক পরিশুদ্ধির মাস। সিয়াম পালনের মাধ্যমে একজন মুসলমান খোদাভীতি অর্জন করতে পারে এবং সমাজের দরিদ্রদের কষ্ট অনুধাবন করে দান-সদকা ও ইবাদতের মাধ্যমে সওয়াব হাসিল করতে পারে।