ইফতারের আগ মুহূর্তে যেসব ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

ইফতারের আগ মুহূর্তে যেসব ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়

ছবি: সংগৃহীত

মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য অন্যতম বিশেষ নেয়ামত হলো পবিত্র রমজান মাস। আর এ মাসে প্রত্যেক মুসিলম উম্মাহর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক বা ফরজ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দার প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল। 

রমজানে এই দয়ার পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। তিনি প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করেন, বান্দার দোয়া কবুল করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। বিশেষত রমজানের ইফতারের সময়ে দোয়া কবুলের কথা হাদিসে এসেছে।

এ সময়ে বান্দার ওপর আল্লাহর করুণার ধারা বর্ষিত হয়। অথচ না জেনেই অনেকে সময়গুলো অবহেলায় কাটিয়ে দেয়। ইবাদত ও দোয়া কবুলের বিবেচনায় সূর্যাস্ত তথা ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত খুবই মূল্যবান। পূর্বসূরি আলেমরা ইফতারের আগের সময়টুকু দোয়া ও আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন।

কেননা মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২) তাই ইফতারের সময়ে নানা কাজে ব্যস্ত না হয়ে দোয়ায় নিমগ্ন হওয়া জরুরি।

ইফতারের আগে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না; এ ব্যাপারে সহীহ হাদিস রয়েছে। নবী (সা) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।’ (বাইহাকী ৩/৩৪৫, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৭৯৭ নম্বর)

সুতরাং রোজাদারের জন্য ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এ বিষয়ে একটি হাদিস রয়েছে- ‘ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দোয়া রয়েছে যা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ, হাকিম)

আরবি/এসএমএ

Link copied!