ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

খুলনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ১২:৪৪ এএম

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ও বরকতময় মাস। এই মাসে রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। রোজা আত্মসংযম, ধৈর্য, সংহতি এবং আত্মশুদ্ধির এক মহৎ উপায়। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে একজন মুসলমান নিজেকে সংযত রাখার শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন।

সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করা রোজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক সময় মানুষ ভুল সময়ে সেহরি বা ইফতার করে ফেলেন, যা রোজার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেহরি ও ইফতারের নির্ভুল সময় জানা একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তিনি যথাযথভাবে ইবাদত পালন করতে পারেন। বিশেষ করে খুলনা জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময়সূচি জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ বিভিন্ন অঞ্চলের সময়ে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।

খুলনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
নিচে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে খুলনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় দেওয়া হলো:

রমজান তারিখ সাহরি ইফতার
২ মার্চ ২০২৫০৫:০৭০৬:০৬
৩ মার্চ ২০২৫০৫:০৬০৬:০৭
৪ মার্চ ২০২৫০৫:০৫০৬:০৭
৫ মার্চ ২০২৫০৫:০৪০৬:০৮
৬ মার্চ ২০২৫০৫:০৩০৬:০৮
৭ মার্চ ২০২৫০৫:০২০৬:০৯
৮ মার্চ ২০২৫০৫:০১০৬:০৯
৯ মার্চ ২০২৫০৫:০০০৬:১০
১০ মার্চ ২০২৫০৪:৫৯০৬:১০
১০১১ মার্চ ২০২৫০৪:৫৮০৬:১০
১১১২ মার্চ ২০২৫০৪:৫৭০৬:১১
১২১৩ মার্চ ২০২৫০৪:৫৬০৬:১১
১৩১৪ মার্চ ২০২৫০৪:৫৫০৬:১২
১৪১৫ মার্চ ২০২৫০৪:৫৪০৬:১২
১৫১৬ মার্চ ২০২৫০৪:৫৩০৬:১২
১৬১৭ মার্চ ২০২৫০৪:৫২০৬:১৩
১৭১৮ মার্চ ২০২৫০৪:৫১০৬:১৩
১৮১৯ মার্চ ২০২৫০৪:৫০০৬:১৪
১৯২০ মার্চ ২০২৫০৪:৪৯০৬:১৪
২০২১ মার্চ ২০২৫০৪:৪৮০৬:১৪
২১২২ মার্চ ২০২৫০৪:৪৭০৬:১৫
২২২৩ মার্চ ২০২৫০৪:৪৬০৬:১৫
২৩২৪ মার্চ ২০২৫০৪:৪৫০৬:১৫
২৪২৫ মার্চ ২০২৫০৪:৪৪০৬:১৬
২৫২৬ মার্চ ২০২৫০৪:৪৩০৬:১৬
২৬২৭ মার্চ ২০২৫০৪:৪২০৬:১৭
২৭২৮ মার্চ ২০২৫০৪:৪১০৬:১৭
২৮২৯ মার্চ ২০২৫০৪:৩৯০৬:১৮
২৯৩০ মার্চ ২০২৫০৪:৩৮০৬:১৮
৩০৩১ মার্চ ২০২৫০৪:৩৭০৬:১৯

রোজার গুরুত্ব ও উপকারিতা
রোজা শুধুমাত্র ধর্মীয় বিধান নয়, এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। শারীরিক দিক থেকে, রোজা হজম প্রক্রিয়াকে বিশ্রাম দেয় এবং শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এটি বিপাকীয় কার্যকলাপ উন্নত করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মানসিক দিক থেকে, রোজা আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়, ধৈর্য বৃদ্ধি করে এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মানুষের নৈতিক উন্নতি ঘটায়। এটি মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও দানশীলতার মানসিকতা গড়ে তোলে, যা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করে।
সময় মতো ইফতার ও সাহরি খাওয়ার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো ইফতার দেরিতে করা। (আবু দাউদ)

সেহরির গুরুত্ব ও করণীয়
সেহরি খাওয়া সুন্নত এবং এটি রোজাদারদের জন্য শারীরিক ও আত্মিকভাবে উপকারী। সেহরির খাবার সারাদিনের উপবাসে শক্তি জোগায় এবং রোজা পালনকে সহজ করে তোলে। সুন্নত অনুযায়ী, শেষ রাতে সেহরি খাওয়া উত্তম এবং সুবহে সাদিকের একটু আগে সেহরি শেষ করা ভালো।
সেহরির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • পর্যাপ্ত পানি ও ডাবের পানি
  • খেজুর ও বাদাম
  • ওটমিল ও দই
  • ডিম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
  • শাকসবজি ও ফলমূল

ইফতারের গুরুত্ব ও সুন্নতি আমল
ইফতার করা সুন্নত এবং এটি যথাসময়ে করা উত্তম। হাদিস অনুযায়ী, প্রিয় নবী (সা.) খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করতেন। তিনি দ্রুত ইফতার করতেন এবং ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন। ইফতারের সময় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা উচিত এবং দোয়া কবুল হওয়ার মুহূর্তগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
স্বাস্থ্যকর ইফতার খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • খেজুর ও ফলমূল
  • শসা, টমেটো ও সালাদ
  • লেবুর শরবত, ডাবের পানি
  • সুপ ও হালকা খাবার
  • পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন