ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

সেহরি খেয়ে ফজরের পর ঘুমালে যে ক্ষতি হয়

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ফাইল ছবি

আমরা বেশিরভাগ মানুষই রমজানে সেহরি করে ফজরের পর ঘুমাই। এটি করা উচিত নয়। কারণ, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সময়টির জন্য দোয়া করেছেন। স্বাখর ইবনে অদাআহ গামেদী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতের জন্য তাদের সকালে বরকত দাও’।

কিন্তু বান্দা এ সময় ঘুমিয়ে থাকলে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। 

সকালে ফজরের নামাজের পর না ঘুমিয়ে সকাল সন্ধ্যার দোয়াগুলো করা যায়, রমজান উপলক্ষে কোনো ইবাদত বা কোরআন তিলাওয়াত করা যায়। নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া যায়।

প্রথম প্রথম এই অভ্যাস গড়ে তুলতে কষ্ট হবে। তবে কিছুদিন এ চর্চা জারি রাখলে তাতে অভ্যস্ততা চলে আসবে। ঘুম কাটাতে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। দরকার হলে রাতে আগেভাগে শুয়ে পড়তে হবে।

সকালের এসব ইবাদতের পরে এশরাকের নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে, নামাজ পড়ে তখন একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে ফজর নামাজ পড়েই ঘুমানোর অভ্যাস করা যাবে না। এতে দিনের বরকত কমে আসে এবং আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।