বিয়ে নিয়ে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। তারা দ্রুত বিয়ের পক্ষে নানা যুক্তি উপস্থাপন করেন। আবার মুরব্বি বা আলেমদের অনেকেই এটাকে ফ্যান্টাসি হিসেবেই মত দিয়েছেন। সে যাইহোক, বিয়ে নিয়ে সমাজে প্রচলিত ধারণা যে এটি সবার জন্য ফরজ। প্রকৃতপক্ষে এই ধারণাটি ভুল।
নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিক। বৈধ ভালোবাসায় এদের সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। বিয়ে করা আল্লাহর রসুলগণের আচরিত নীতি। এ হিসেবে এটি সুন্নত। বিবাহ করার জন্য পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেন, ‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা রুম : আয়াত ২১)
আল্লাহর রাসূল মোহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করতে সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কারণ এটা তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখে, লজ্জাস্থানকে হেফাযত করে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না তার উপর সিয়াম পালন করা কর্তব্য। কারণ এটা তার জন্য ঢালস্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)।
তবে যার অশ্লীল কর্মে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে তার উপর বিবাহ করা ফরজ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৮/ ৬)।
বিয়ে করার একটি পূর্বশর্ত হলো বিয়ে করার শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকা। স্বাভাবিক সাধারণ সময়ে বিয়ে করা সুন্নত, ফরজ নয়। অর্থাৎ সামর্থ্য থাকার পরেও কেউ যদি বিয়ে করতে না চায়, এবং বিয়ে না করলে সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হবে না তাদের জন্য বিয়ে সুন্নত। সুতরাং, বিয়ে না করলে কোনো গুনাহ হবে না, নবীর সুন্নত বাদ পড়বে। তবে সামর্থবান ও বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের জন্য বিয়ে করা সুন্নত, সওয়াবের কাজ, উত্তম কাজ।