ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

লাইলাতুল কদর, কোরআন নাজিলের রাত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মুসলমানদের কাছে সর্বাধিক পবিত্র ও মহিমান্বিত রাত হচ্ছে লাইলাতুল কদর। এই মহান মর্যাদাময় রাত্রিতেই বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তির সনদ ও সর্বযুগের সর্ব জাতির পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার অপরিবর্তনীয় বিধান গ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করা হয়েছিল।

নবী (সা.) বলেছেন,  এই একটি মাত্র রাতের ইবাদত-বন্দেগিকে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। ১ হাজার মাসে ৮৩ বছর চার মাস হয়। ভাগ্যবান ওইসব লোক যাদের এ রাতে ইবাদত-বন্দেগির তৌফিক হয়। কেননা এই একটিমাত্র রাত যে ইবাদতে কাটাল সে যেন ৮৩ বছর চার মাসের চেয়ে বেশি সময় ইবাদতে কাটাল।

শবে কদর রাতেই আল্লাহ কোরআন নাজিল করেছিলেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,  আমি কদরের রাতে কুরআন নাযিল করেছি। আবার অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘রমযান মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)।

এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হেরা গুহায় যে রাতে আল্লাহর ফেরেশতা অহী নিয়ে এসেছিলেন সেটি ছিলো রামাদান মাসের একটি রাত। এই রাতকে এখানে কদরের রাত বলা হয়েছে।

আল্লাহ আরও বলেন, আমার উজ্জ্বল কিতাবের শপথ! নিশ্চয় আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী, যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয় আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। এ হলো আপনার প্রভুর দয়া, নিশ্চয় তিনি সব শোনেন ও সব জানেন। তিনি নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল ও এ উভয়ের মাঝে যা আছে সে সবের রব। যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাস করো; তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনিই তোমাদের পরওয়ারদিগার আর তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও। তবু তারা সংশয়ে রঙ্গ করে। তবে অপেক্ষা করো সে দিনের, যেদিন আকাশ সুস্পষ্টভাবে ধূম্রাচ্ছন্ন হবে। (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-১০)।