ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

আজানে ভুল হলে যা করতে হবে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০২:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর ধ্বনির নাম আজান—এটি মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে কোটি মানুষের উপলব্ধি। তা হবে না কেন? এ আজান তো সৃষ্টির প্রতি মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তার আহ্বান।

একজন মানুষকে যখন তার মহান মালিকের প্রতি আহ্বান করা হয়, তার উপলব্ধি তখন কেমন হতে পারে? তাই আজানের আওয়াজ শুধু মুসলমানের অন্তরেই নাড়া দেয় না, বরং তা অমুসলিমের অন্তরকেও আকর্ষণ করে। যুগে যুগে যার অজস্র উদাহরণ রয়েছে। হ্যাঁ, হিংসুক ও নিন্দুকের কথা ভিন্ন। আল্লাহর ভাষায়, ‘যার অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দেন, সে (হেদায়েতের) আলো থেকে বঞ্চিত হবেই। ’

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,  إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَوٰةِ مِن يَوۡمِ ٱلۡجُمُعَةِ فَٱسۡعَوۡاْ إِلَىٰ ذِكۡرِ ٱللَّهِ 

‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও।’ (সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত: ৯)

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَإِذَا نَادَيۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ ٱتَّخَذُوهَا هُزُوٗا وَلَعِبٗاۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡقِلُونَ

‘আর যখন তোমরা সালাতের দিকে ডাক, তখন ‎তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ ‎করে। তা এই কারণে যে, তারা এমন কওম, যারা ‎বুঝে না।’ (সুরা আল-মায়েদাহ, আয়াত : ৫৮)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন সালাতের সময় হয়, তখন তোমাদের একজন যেন আজান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করে।’ এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আজান ফরযে কিফায়া।

ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন, ‘মুতাওতির হাদিসে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জন্য আজান দেওয়া হতো, এটা উম্মতের ইজমা‘ এবং তাদের আমলের পরম্পরা দ্বারা প্রমাণিত।’ (শারহুল উমদা: ২/৯৬); ফাতওয়া ইবন তাইমিয়া: ২২/৬৪)

আজান দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়। আজানের সময় এই শব্দগুলো বলারও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কেউ আজান দেওয়ার সময় যদি আজানের মাঝে বাক্যগুলো আগপিছ করে ফেলে তাহলে করণীয় কী?

আজান পুনরায় দিতে হবে নাকি দিতে হবে না? যেমন এক ব্যক্তি আজান দিতে গিয়ে ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এর আগেই ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলে ফেলেছে। এখন তার এই আজানের হুকুম কী হবে?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— এক্ষেত্রে যেটিকে আগে বলেছে সেটি পুনরায় বললেই আজান শুদ্ধ হয়ে যাবে। নতুন করে আজান দিতে হবে না।

যেমন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ বলার পর আবার ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলবে। এতেই আজান শুদ্ধ হয়ে যাবে। পুনরায় আজান দিতে হবে না। (দুররুল মুহতার, ২/৫৬)