ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আয়াতুল কুরসি: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ এবং ফজিলত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

আয়াতুল কুরসি: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ এবং ফজিলত

ছবি: সংগৃহীত

আয়াতুল কুরসি কুরআন শরীফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা সূরা আল-বাকারাহ এর ২৫৫ নম্বর আয়াতে রয়েছে। এই আয়াতটি মুসলিমদের জীবনে অত্যন্ত সম্মানিত এবং গুরুত্বপূর্ণ। এর পাঠ করলে একদিকে যেমন আল্লাহর রহমত ও নিরাপত্তা লাভ করা যায়, তেমনি বিপদাপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

আয়াতুল কুরসি: আরবি উচ্চারণ
“اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ”

আয়াতুল কুরসি: বাংলা উচ্চারণ
“আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহূ ইল্লা বি ইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম। ওলা ইয়ুহীত্বূনা বিশাইইম মিন এলমিহি ইল্লা বিমা শা’আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওলা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল আলিইউল আজীম।”

আয়াতুল কুরসি: বাংলা অর্থ
“আল্লাহ! তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কিছুই তার। কে আছো, যে তার অনুমতি ব্যতীত তার কাছে সুপারিশ করতে পারে? তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে ও তাদের পিছনে রয়েছে। 

আর তারা তার জ্ঞানের সামান্য অংশও আয়ত্ত করতে পারে না, তবে যা কিছু তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া। তার কুরসি (সিংহাসন) আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে এবং উভয়ের সংরক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ, মহামহিম।” 

আয়াতুল কুরসি: ফজিলত
আয়াতুল কুরসি পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে, যা আমাদের জীবনে অনেক উপকারে আসে: 

রক্ষা পাওয়া: এর পাঠ করলে আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন।

শয়তানের থেকে রক্ষা: আয়াতুল কুরসি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে। 

স্বরগদ্বারের সুরক্ষা: যারা এটি পাঠ করেন, তাদের জান্নাতের দরজা খুলে যায়। 

ইমানের দৃঢ়তা: এটি নিয়মিত পাঠ করলে ইমান দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। 

রোগ মুক্তি: রোগী উপর আয়াতুল কুরসি পড়লে রোগ সেরে উঠতে পারে। 

জীবনের সুরক্ষা: এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করে। 

আয়াতুল কুরসি পাঠের সময়
আয়াতুল কুরসি যে কোন সময়ে পাঠ করা যেতে পারে, তবে বিশেষ কিছু সময়ে এর ফজিলত বেশি:

ফজর ও মাগরিব নামাজের পরে: এসব সময়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে দিন ও রাতের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

ঘুমানোর আগে: এটি পড়লে সারারাতের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। 

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়: বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পাঠ করলে আল্লাহর নিরাপত্তা থাকে। 

যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরুতে: এই আয়াতটি পড়লে কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
আয়াতুল কুরসি একদিকে আল্লাহর শাশ্বত ক্ষমতার প্রতীক, অন্যদিকে এটি মুসলিমদের জীবনে আল্লাহর রহমত, নিরাপত্তা ও রক্ষা লাভের এক গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!