দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। দোয়ার মাধ্যমে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। এমনকি দোয়ার ফলে ভাগ্যও ঘুরে যায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো। আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব’ (সূরা মুমিন, আয়াত ৬০।)
আরবি দোয়া শব্দের অর্থ ডাকা, আহ্বান করা, প্রার্থনা করা, কোনো কিছু চাওয়া ইত্যাদি।
রাসুল সা. বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ২১৩৯।) দোয়া সব ইবাদতের মূল।
কাজেকর্মে নির্দিষ্ট দোয়া পাঠে ফজিলত অর্জনের পাশাপাশি কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ভ্রমণে বের হওয়ার দোয়া-
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হা-জা ওয়ামা কুননা লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবুন। (সুরা যুখরূফ: আয়াত ১৩-১৪)
অর্থ: মহান পবিত্র তিনি, যিনি আমাদের জন্য এটাকে (যানবাহনকে) অধীন-নিয়ন্ত্রিত বানিয়ে দিয়েছেন, নতুবা আমরাতো এটাকে বশ করতে সক্ষম ছিলাম না। একদিন আমাদেরকে আমাদের প্রভুর নিকট অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।
উপকারিতা: যখন মুসলমান ছোট কিংবা বড় কোনো সফরে বের হয়, তখন তার উচিত নবীজীর সা. শেখানো এ দোয়াটি পাঠ করা। এতে করে তার ভ্রমণ হবে নিরাপদ ও শঙ্কামুক্ত।
ক. ভ্রমণে বের হওয়ার সময় দোয়া পাঠ করলে ফিরে আসা পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে।
খ. ভ্রমণের শুরুতে দোয়া পাঠের কারণে পুরো ভ্রমণটাই তার জন্য ইবাদতে পরিণত হবে।
গ. আল্লাহ তায়ালা দোয়া পাঠকারীর জন্য তার ভ্রমণকে সহজ করে দেন।
ঘ. দোয়া পাঠে ভ্রমণকালীণ প্রতিটি কাজে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, সফরকারী তার পরিবারের জন্য দুই রাকাত নামাজের চেয়ে ভালো কিছু রেখে যায় না। (মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, হাদিস: ৪৯১২)
একাকী সফর নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। সুতরাং ভালো কাউকে সফরসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করুন। মহানবী সা. বলেছেন, সঙ্গীহীনতায় কত কী সমস্যা! আমি যেমন জানি, তোমরাও জানলে রাতে একাকী কখনো সফর করার সাহস পেতে না। (বুখারি, হাদিস: ২৯৯৮)
সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। তাই ভ্রমণ আনন্দজনক হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা বিপদজনকও বটে।
দুর্ঘটনা শুধুমাত্র সড়কপথে নয়; আকাশপথ ও নদীপথেও দুর্ঘটনার হার কম নয়। তাই প্রতিবার ভ্রমণের পূর্বে নিরাপত্তার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। কারণ একমাত্র তিনিই আমাদেরকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দান করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :