ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সমন্বয়ককে নিয়ে শিক্ষকের পোস্ট

কুল্লু নাফসিন দায়িকাতুল ইনকিলাব- কীভাবে লিখেছিলেন মাহফুজ?

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক। মাহফুজ আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  (ঢাবি) আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মাহফুজ আলমের একটি পুরাতন পোস্ট নিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহী তথা সারাদেশে যে কজন শিক্ষক যুক্ত ছিলেন, এই শিক্ষক তাদের মধ্যে অন্যতম।

পোস্টটি পাঠকের জন্য হবহু তুলে ধরা হল-

"কুল্লু নাফসিন দায়িকাতুল ইনকিলাব", অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণ বিপ্লবের স্বাদ গ্রহণ করবে।

এই একটা মাত্র বাক্য লিখে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন মাহফুজ আলম।

সেই পোস্টের নিচে ফেসবুকের এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে-অনুবাদ দেখাচ্ছিল, তা হলো: "প্রতিটা শ্বাস একটি অভ্যুত্থানের স্বাদ গ্রহণ করবে"। 

অতিরিক্ত সুন্দর এই কথাটা, আমি খোঁজখবর করে যেটুকু বুঝেছি, কোরান শরিফের দুটো আয়াতের কাব্যিক টুইস্ট হিসেবে বা বিশিষ্ট রূপকার্থে কয়েন করেছেন মাহফুজ। কোরানে বলা হচ্ছে, "কুল্লু নাফসিন দায়িকাতুল মাউত", অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। (সুরা আল ইমরানের ১৮৫ নম্বর আয়াত এবং সূরা আল-আনকাবুতের ৫ নম্বর আয়াত।)

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, রূপকার্থে নিলে, মৃত্যুও তো বিপ্লব, তাই না? আবার বিপ্লব মানেই তো প্রচুর প্রাণহানির, মৃত্যুর, শহিদানের আশঙ্কা, বা সম্ভাবনা, বাস্তবতা। 

জুলাই-বিপ্লবের অত আগে এ কথাটা কীভাবে লিখেছিলেন, মাহফুজ? কী ভেবে লিখেছিলেন? যেদিন লিখেছিলেন সেই দিনটার কথা কি তিনি মনে করতে পারেন? কী ছিল সেই দিনটা? কেমন ছিল? কী হয়েছিল?

আমাদের সাক্ষাৎকারের দিন তাঁকে আমি এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে ভুলে গিয়েছিলাম। আবার যদি দেখা হয়, জানতে চাইব। 

আপাতত বলি, "শুভ জন্মদিন, মাহফুজ!" আপনাকে, আপনাদেরকে, ভালোবাসি।

জুলাই চলছে। বিপ্লব চলমান।